পৃষ্ঠাসমূহ

Showing posts with label কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়. Show all posts
Showing posts with label কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়. Show all posts

Wednesday, November 4, 2020

কোন কিছু কি সহজ? আমরা কি কিছু করতে পারি?

কোন কিছু কি সহজ? আমরা কি কিছু করতে পারি? সবকিছুই তো কঠিন, যতক্ষণ না তিনি তা সহজ করে দেন, যতক্ষণ না তিনি আমার চারপাশকে একটা কাজের জন্য তৈরি করে দেন। আশেপাশের কতজন কী ভীষণ বদলে গেলো, সুন্দর থেকে সুন্দর মন-প্রাণের হয়ে গেলো। কেউ কেউ এত খারাপ হয়ে গেলো, সেই খারাপ কাজে মরেও গেলো। প্রায়ই ঘোরের মতন লাগে। এইতো সেদিন ছিলাম একসাথেই, একই আড্ডায়। আজ ছেলেগুলো নেই, আর কোনদিন পৃথিবীতে আসবে না। আমার নিজেরও অফিসে বের হবার সময় প্রায় প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় মনে হয়, আজ কি বাসায় ফিরতে পারব দিনশেষে? আমরা তো ভীষণ দুর্বল সৃষ্টি। আমার দুর্বলতা আমি টের পেয়েছি যখন জ্বরে বিছানায় শুয়ে ঘোরে চলে গিয়েছি। অথবা অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তারের সুঁই আর চাকুর নিচে গিয়ে মনে হয়েছিলো, আমার বিভ্রমের জীবনের সমাপ্তি কি তেমন কঠিন কিছু? যাদের চারপাশে বেঁধে রাখতাম, জুড়ে থাকতাম -- সবাই তো দূরেরই। কতই তো বদলে যেতে চাইলাম, কতখানিই বা পারি? তবে পরম আরাধ্য যা থাকে, তিনি সেই জিনিসগুলো সহজ করে দিতে থাকেন। পথপানে এগিয়ে গেলে সামনের পথ আলোকিত হয়ে দৃষ্টিসীমায় পথ প্রসারিত হতে থাকে। এই চাওয়া কতজনের কতরকম! যে যেমন জিনিসে মুগ্ধ হয়, ভালোবাসা কাজ করে যেদিকে, সে সেদিকেই ধাবমান হয়। ক্রমে তার প্রাপ্তিগুলোও ঐ কেন্দ্রিকই হয়। দুনিয়াতে ডুবে গেলে যাওয়াই হয়। আখিরাতের পথে কিছু চাইলে চাওয়ার গভীরতার উপরে হয়ত নির্ভর করে অর্জনের তীব্রতাও। তখন পথচলায় অনুভূতির জগতে কষ্টগুলোও হয়ত হালকা হয়ে যায়। সেটা তিনিই করে দেন। তিনিই তো সবকিছুর মালিক, যাকে ইচ্ছা দেন, যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত করে কেড়ে নেন। মাঝে মাঝে দু'চোখে দেখে অসম্ভব লাগে আমার, আমি মুগ্ধ চোখে হয়ে বদলে যাওয়া অসাধারণ মানুষদের দেখি, হৃদয়ে নাড়া খাই। শুধু মনে হয়, এই পথযাত্রায় হয়ত থেমেই আছি, তবু তা হয়ত বসে থাকার চাইতে ভালো, জানিনা আমি। তিনি চাইলে সহজ হবে অনেক কিছুই, তার অপার রাহমাতের অপেক্ষাতেই রই। ফিরে তো যাব তার কাছেই, এসেছিলাম তার কাছ থেকেই। শাইখ হামজা ইউসুফের কথাটা স্মরণ হয়ে গেলো -- "আপনি যখন দরজায় দাঁড়িয়ে কড়া নাড়ছেন, তখন সেই কাজটিও দরজা খুলে যাওয়ার একটি অংশ; আপনি যখন কোন যাত্রাপথে তখন রওয়ানা হওয়ার মাঝেই আপনার যাত্রা শুরু হয়ে গেছে, যদি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে না-ও পারেন তবু চিন্তিত হবেন না। সময় নষ্ট করা বন্ধ করুন, মৃত্যু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। এটাই ছিলো ইমাম গাজ্জালীর মূল বার্তা।"

Tuesday, October 9, 2018

স্বপ্নগুলি প্রায়ই ইতিবাচক আবেগ নিয়ে আসে



রাগ, জিদ, ঘৃণা, ভালোবাসা সবই আবেগের প্রকাশ। আর আবেগ মূলত অনুভূতির প্রকাশ। কিছু আবেগ আছে যা আমরা ভালো বলি আবার কিছু আবেগ আছে যা আমরা খারাপ মনে করি। কিন্তু খারাপ আবেগ সবসময় নেতিবাচক নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই খারাপ আবেগ থেকে ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব। এমন কিছু নেতিবাচক আবেগ যার রয়েছে ইতিবাচক প্রভাব তা জেনে নিন।

১। মন খারাপঃ-

মন খারাপ হওয়া মানে হতাশা নয়
। মনস্তত্ত্ববিদ জসেফ ফরগাস মনে করেন, মন খারাপ আমাদের আরো বেশি মনোযোগী করে তোলে। মন খারাপ যেকোনো কিছু আরো বেশি গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। শুধু তাই নয় এটি স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে। এমনকি যে কোনো বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সাহায্য করে। এছাড়া মন খারাপ নাহলে প্রচণ্ড খুশির মুহূর্তগুলিকে আলাদা করে চেনা যায় না।

২। হতাশাঃ-

হতাশাকে যে কোনো ব্যার্থতার অন্যতম কারণ
মনে করা হয়। মনোবিজ্ঞানী জুলি নোরিম মনে করেন, “ নেতিবাচক চিন্তা উদ্বিগ্নতার বা হতাশার সৃষ্টি। একজন হতাশাগ্রস্ত মানুষ সবচেয়ে খারাপটা চিন্তা করে থাকেন। আর এই খারাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। যা থেকে সে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে”। হতাশা আমাদের দরকার আছে যাতে অনেক খারাপ হলে আমরা সেটিকে গ্রহণ করতে পারি।

৩। রাগঃ-

রাগকে আমরা খারাপ হিসেবে ধরে থাকি। কিন্তু এই রাগেরও কিছু ভাল দিক আছে। রাগ কখনো ভিতরে রেখে দিতে নেই। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। রাগ প্রকাশ করে দিলে আপনার মন হালকা হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ রাগের প্রকাশটা কোন ব্যক্তির ওপর করা উচিত না। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল এসোসিয়েশন মনে করে, রাগ অনেক ক্ষেত্রে গঠনমূলক কাঠামো হিসেবে কাজ করে।

৪। কান্না করাঃ-

দুঃখের মুহূর্তগুলোতে আবেগে আমরা কেঁদে ফেলি
। অনেকে সেটিকে খারাপ আবেগ মনে করেন। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, কান্না পেলে তা চেপে না রেখে কেঁদে ফেলা উচিত। কারণ তাহলে মন অনেক হালকা হয়ে যায়।

৫। একা থাকাঃ-

একা থাকতে অনেকেই পছন্দ করেন না। একাকী থাকলে মনের মধ্যে অনেক নেতিবাচক কথা আসে। তবে মন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কখনও কখনও একা থাকা আপনার জন্য ভাল। এটি আপনার চিন্তার গণ্ডীর বাইরে যেয়ে চিন্তা করতে সাহায্য করে। যা আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলবে।

৬। কাল্পনিক চিন্তা ভাবনাঃ-

কখনও কখনও যুক্তিকে একপাশে সরিয়ে রেখে নানা
খেয়ালের সাগরে ডুব দিই আমরা। কিছু মানুষের মতে, নেতিবাচক মানসিকতার পাল্লা ভারী হলে এমন উদ্ভট চিন্তা মাথায় নাড়া দেয়। তবে মাঝে মাঝে বাস্তবিক চিন্তা বাদ দিয়ে কল্পনার সাগরে ডুব দেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভাল।

৭। হিংসাঃ-

হিংসা খুব
খারাপ একটা অভ্যাস। মনস্তাত্ত্বিকবিদরা হিংসাকে
দুই ভাগে ভাগ করেন, একটি ম্যালিকিয়াস (খারাপ হিংসা)। এই ধরনের হিংসা তাকে অন্যের ক্ষতি করতে উদ্ভব করে। আরেক ধরনের হিংসা যা বেনাইন (ক্ষতিকর নয়) নামে পরিচিত। এই ক্ষেত্রে চিন্তা করা হয়, অন্যরা পারলে আমি কেনো পারবো না। আর এটি লক্ষ্যে অর্জনে সাহায্য করে। তাই, অন্যকে হিংসা করে তার ক্ষতি না করে বরং সেটাকে জিদে পরিণত করুন। আর দেখুন আপনি পৌঁছে গেছেন আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
@রাজকবি
@কবিরাজ



Saturday, August 25, 2018

কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়


সকল ক্ষতিই মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারে। মানুষ পরম অভিযোজন ক্ষমতার একটি প্রাণী। যাকে ছাড়া/যা ছাড়া জীবন কল্পনাও করতে পারেননি, তার বিদায়ের পরে আপনি দিব্যি খাবেন, ঘুমাবেন, হাসবেন। কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। দুঃখ নয়, গ্লানি হয়। এমনকি আনন্দের সময়ও নয়। দুনিয়া নিজেই অস্থায়ী। এর ভেতরের প্রতিটি প্রাণী, প্রতিটি সত্ত্বা, প্রতিটি কণা অস্থায়ী, নশ্বর। এমন কিছুর প্রতি কীসের এত আকাঙ্ক্ষা, এত স্বপ্ন আর কল্পনা-জল্পনা আমাদের যা কিছু সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে শেষ হয়ে যাবে?