পৃষ্ঠাসমূহ

Showing posts with label ইতিবাচক. Show all posts
Showing posts with label ইতিবাচক. Show all posts

Tuesday, October 9, 2018

স্বপ্নগুলি প্রায়ই ইতিবাচক আবেগ নিয়ে আসে



রাগ, জিদ, ঘৃণা, ভালোবাসা সবই আবেগের প্রকাশ। আর আবেগ মূলত অনুভূতির প্রকাশ। কিছু আবেগ আছে যা আমরা ভালো বলি আবার কিছু আবেগ আছে যা আমরা খারাপ মনে করি। কিন্তু খারাপ আবেগ সবসময় নেতিবাচক নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই খারাপ আবেগ থেকে ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব। এমন কিছু নেতিবাচক আবেগ যার রয়েছে ইতিবাচক প্রভাব তা জেনে নিন।

১। মন খারাপঃ-

মন খারাপ হওয়া মানে হতাশা নয়
। মনস্তত্ত্ববিদ জসেফ ফরগাস মনে করেন, মন খারাপ আমাদের আরো বেশি মনোযোগী করে তোলে। মন খারাপ যেকোনো কিছু আরো বেশি গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। শুধু তাই নয় এটি স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে। এমনকি যে কোনো বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সাহায্য করে। এছাড়া মন খারাপ নাহলে প্রচণ্ড খুশির মুহূর্তগুলিকে আলাদা করে চেনা যায় না।

২। হতাশাঃ-

হতাশাকে যে কোনো ব্যার্থতার অন্যতম কারণ
মনে করা হয়। মনোবিজ্ঞানী জুলি নোরিম মনে করেন, “ নেতিবাচক চিন্তা উদ্বিগ্নতার বা হতাশার সৃষ্টি। একজন হতাশাগ্রস্ত মানুষ সবচেয়ে খারাপটা চিন্তা করে থাকেন। আর এই খারাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। যা থেকে সে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে”। হতাশা আমাদের দরকার আছে যাতে অনেক খারাপ হলে আমরা সেটিকে গ্রহণ করতে পারি।

৩। রাগঃ-

রাগকে আমরা খারাপ হিসেবে ধরে থাকি। কিন্তু এই রাগেরও কিছু ভাল দিক আছে। রাগ কখনো ভিতরে রেখে দিতে নেই। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। রাগ প্রকাশ করে দিলে আপনার মন হালকা হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ রাগের প্রকাশটা কোন ব্যক্তির ওপর করা উচিত না। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল এসোসিয়েশন মনে করে, রাগ অনেক ক্ষেত্রে গঠনমূলক কাঠামো হিসেবে কাজ করে।

৪। কান্না করাঃ-

দুঃখের মুহূর্তগুলোতে আবেগে আমরা কেঁদে ফেলি
। অনেকে সেটিকে খারাপ আবেগ মনে করেন। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, কান্না পেলে তা চেপে না রেখে কেঁদে ফেলা উচিত। কারণ তাহলে মন অনেক হালকা হয়ে যায়।

৫। একা থাকাঃ-

একা থাকতে অনেকেই পছন্দ করেন না। একাকী থাকলে মনের মধ্যে অনেক নেতিবাচক কথা আসে। তবে মন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কখনও কখনও একা থাকা আপনার জন্য ভাল। এটি আপনার চিন্তার গণ্ডীর বাইরে যেয়ে চিন্তা করতে সাহায্য করে। যা আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলবে।

৬। কাল্পনিক চিন্তা ভাবনাঃ-

কখনও কখনও যুক্তিকে একপাশে সরিয়ে রেখে নানা
খেয়ালের সাগরে ডুব দিই আমরা। কিছু মানুষের মতে, নেতিবাচক মানসিকতার পাল্লা ভারী হলে এমন উদ্ভট চিন্তা মাথায় নাড়া দেয়। তবে মাঝে মাঝে বাস্তবিক চিন্তা বাদ দিয়ে কল্পনার সাগরে ডুব দেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভাল।

৭। হিংসাঃ-

হিংসা খুব
খারাপ একটা অভ্যাস। মনস্তাত্ত্বিকবিদরা হিংসাকে
দুই ভাগে ভাগ করেন, একটি ম্যালিকিয়াস (খারাপ হিংসা)। এই ধরনের হিংসা তাকে অন্যের ক্ষতি করতে উদ্ভব করে। আরেক ধরনের হিংসা যা বেনাইন (ক্ষতিকর নয়) নামে পরিচিত। এই ক্ষেত্রে চিন্তা করা হয়, অন্যরা পারলে আমি কেনো পারবো না। আর এটি লক্ষ্যে অর্জনে সাহায্য করে। তাই, অন্যকে হিংসা করে তার ক্ষতি না করে বরং সেটাকে জিদে পরিণত করুন। আর দেখুন আপনি পৌঁছে গেছেন আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
@রাজকবি
@কবিরাজ



Saturday, August 25, 2018

দয়া আর মহত্বের স্পর্শে

শেষ কবে আপনি রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা দেখেছেন? আমরা যাদের জ্বলতে দেখি টিমটিম আলোয়, সেই মূহুর্তের সেই আলোটাও তো কত শত বছর আগে ওখান থেকে বিচ্ছুরিত হয়েছিলো তা হিসেব করার বিষয়, কিন্তু অমন নক্ষত্র, গ্রহ তো ওই আকাশে, এই মহাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে লাখে লাখে। ওদের একেকটার আকার আমাদের এই পৃথিবীর চেয়েও অনেক বড়। ওদের ওখান থেকেও আমরা একটা বিন্দুর মতই। এই বিন্দুতেই আমাদের সব। এই বিন্দুটুকুর আরো বিন্দু অংশ নিয়ে হাজার হাজার সৈনিক যুদ্ধ করেছে, সেনাপতিরা নিজেদের অমিত শক্তিশালী মনে করেছে হয়ত কোন একটা অংশ বিজয় করে। শাসকেরা নিজেদের ভাষ্কর্য উদ্বোধন করে, অফিসে অফিসে নিজের ছবি ঝোলায়; মনে করে তাদের এই শক্তি আর এই সময় হয়ত রয়ে যাবে। মহাবিশ্বের এইটুকু বিন্দুতেই শত-সহস্র ধর্ম রয়েছে যারা সবাই নিজেকে সঠিক মনে করে। এটুকুতেই রয়েছে অনিন্দ্য সুরের ঝংকার তৈরি করা লক্ষ লক্ষ সংগীতজ্ঞ, গভীর জীবনবোধ নিয়ে কবিতা ও গল্প লেখা হাজার-লক্ষ কবি আর ঔপন্যাসিক এসে চলেও গেছে। এটুকুর মাঝেই কত আঁকিয়ে যে এঁকেছেন ছবি, শিল্পে আর সংস্কৃতির চর্চার গভীরমূলে গিয়েছেন কত শত জন! এটুকুতেই রয়েছে কত প্রেমিক, কত প্রেমিকা। কত ভালোবাসা, কত টান আর কত আবেগ! কত অশ্রু আর কত হাসি। এখানেই রয়েছে হিংসা-বিদ্বেষ, কেউ কিছু পেলে অপরের জ্বালা ধরা মন্তব্য নির্নিমেষ। এটুকু জায়গায় কত মানুষের কত মত, কত ক্রোধ, কত অহং, কত ঘৃণা। অথচ এই সুবিশাল আয়োজন, এই অন্ধ ক্রোধান্ধ, আমিত্বকে জয় করার নিরুদ্দেশ যাত্রাপথে কারো কি তার ক্ষুদ্রতা নিয়ে আদৌ অনুভব হয়? এই টুকুন সৃষ্টির মাঝে, এই বিন্দুর মাঝে এত সিন্ধু যিনি স্থাপন করেছেন, তার বিশাল সৃস্টির দিকে নির্নিমেষ তাকিয়ে থেকে হয়ত আনমনেই অনুভব হবার কথা ছিলো, "হে আমাদের স্রষ্টা, আমাদের মালিক! আমাদের দয়া করুন। আমাদের চিন্তার আর হৃদয়ের সীমাবদ্ধতা ও ক্ষুদ্রতাকে সহ্য করতে না পারার এই জ্বালা থেকে মুক্তি দিন আপনার দয়া আর মহত্বের স্পর্শে।"