১। মন খারাপঃ-
মন খারাপ হওয়া মানে হতাশা নয়। মনস্তত্ত্ববিদ জসেফ ফরগাস মনে করেন, মন খারাপ আমাদের আরো বেশি মনোযোগী করে তোলে। মন খারাপ যেকোনো কিছু আরো বেশি গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। শুধু তাই নয় এটি স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে। এমনকি যে কোনো বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সাহায্য করে। এছাড়া মন খারাপ নাহলে প্রচণ্ড খুশির মুহূর্তগুলিকে আলাদা করে চেনা যায় না।
২। হতাশাঃ-
হতাশাকে যে কোনো ব্যার্থতার অন্যতম কারণমনে করা হয়। মনোবিজ্ঞানী জুলি নোরিম মনে করেন, “ নেতিবাচক চিন্তা উদ্বিগ্নতার বা হতাশার সৃষ্টি। একজন হতাশাগ্রস্ত মানুষ সবচেয়ে খারাপটা চিন্তা করে থাকেন। আর এই খারাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। যা থেকে সে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে”। হতাশা আমাদের দরকার আছে যাতে অনেক খারাপ হলে আমরা সেটিকে গ্রহণ করতে পারি।
৩। রাগঃ-
রাগকে আমরা খারাপ হিসেবে ধরে থাকি। কিন্তু এই রাগেরও কিছু ভাল দিক আছে। রাগ কখনো ভিতরে রেখে দিতে নেই। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। রাগ প্রকাশ করে দিলে আপনার মন হালকা হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ রাগের প্রকাশটা কোন ব্যক্তির ওপর করা উচিত না। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল এসোসিয়েশন মনে করে, রাগ অনেক ক্ষেত্রে গঠনমূলক কাঠামো হিসেবে কাজ করে।৪। কান্না করাঃ-
দুঃখের মুহূর্তগুলোতে আবেগে আমরা কেঁদে ফেলি। অনেকে সেটিকে খারাপ আবেগ মনে করেন। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, কান্না পেলে তা চেপে না রেখে কেঁদে ফেলা উচিত। কারণ তাহলে মন অনেক হালকা হয়ে যায়।
৫। একা থাকাঃ-
একা থাকতে অনেকেই পছন্দ করেন না। একাকী থাকলে মনের মধ্যে অনেক নেতিবাচক কথা আসে। তবে মন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কখনও কখনও একা থাকা আপনার জন্য ভাল। এটি আপনার চিন্তার গণ্ডীর বাইরে যেয়ে চিন্তা করতে সাহায্য করে। যা আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলবে।৬। কাল্পনিক চিন্তা ভাবনাঃ-
কখনও কখনও যুক্তিকে একপাশে সরিয়ে রেখে নানাখেয়ালের সাগরে ডুব দিই আমরা। কিছু মানুষের মতে, নেতিবাচক মানসিকতার পাল্লা ভারী হলে এমন উদ্ভট চিন্তা মাথায় নাড়া দেয়। তবে মাঝে মাঝে বাস্তবিক চিন্তা বাদ দিয়ে কল্পনার সাগরে ডুব দেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভাল।
৭। হিংসাঃ-
হিংসা খুবখারাপ একটা অভ্যাস। মনস্তাত্ত্বিকবিদরা হিংসাকেদুই ভাগে ভাগ করেন, একটি ম্যালিকিয়াস (খারাপ হিংসা)। এই ধরনের হিংসা তাকে অন্যের ক্ষতি করতে উদ্ভব করে। আরেক ধরনের হিংসা যা বেনাইন (ক্ষতিকর নয়) নামে পরিচিত। এই ক্ষেত্রে চিন্তা করা হয়, অন্যরা পারলে আমি কেনো পারবো না। আর এটি লক্ষ্যে অর্জনে সাহায্য করে। তাই, অন্যকে হিংসা করে তার ক্ষতি না করে বরং সেটাকে জিদে পরিণত করুন। আর দেখুন আপনি পৌঁছে গেছেন আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
@রাজকবি
@কবিরাজ
No comments:
Post a Comment