পৃষ্ঠাসমূহ

Saturday, August 12, 2017

গণিতে দক্ষতা বাড়ানোর ৮টি সহজ উপায়

গণিত বা ম্যাথমেটিক্স খুবই মজার একটি বিষয়। কিন্তু অংক করতে বসে আমরা অনেকেই বিষয়টিকে জটিল বানিয়ে ফেলি। আর এই জটিলতার বেড়াজালে জড়িয়ে গণিতের প্রতি আগ্রহটাও হারিয়ে যায়। তখন গণিত নামক বিষয়টির নাম শুনলেই গায়ে জ্বর চলে আসে। অথচ সহজ কিছু ছোট ছোট কাজ নিয়মিত করার মাধ্যমে গণিতে দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব। আর দক্ষতা বাড়লেই বিষয়টি হয়ে উঠবে মজার। আজকে সেরকমই কিছু ছোট ছোট টেকনিক নিয়ে আলাপ করবো আমরা।

১. পাজল গেমস:

পড়ায় মন বসছে না, কফি হাতে বসে আছো বারান্দায়। ঠিক এই সময়টিতে, কফি খেতে খেতে মিলিয়ে নিতে পার সুডোকু অথবা পুল সাইড পাজল এর মত কিছু গেমস। এই গেমসগুলো যেমন গণিতে দক্ষতা বাড়িয়ে তুলবে, তেমনি অলস সময়টাও হয়ে উঠবে আনন্দদায়ক। এমনকি কিছু কিছু গবেষনা মতে, সুডোকু মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে। আজকাল এরকম বেশ কিছু গেমস-এর অ্যাপস পাওয়া যায়। নিজের পছন্দমত বেছে নিতে পারো যে কোন একটি।

IQ তথা Intelligence Quotient পরীক্ষা সবখানেই অনেক সমাদৃত। এখন ১০ মিনিট স্কুলের সাথে ঘরে বসেই পরীক্ষা করে নাও তোমার IQ!

পরীক্ষা করে নাও তোমার IQ

২. প্লে-কার্ডস:

এটি অনেক মজার একটি খেলা। খেলার নিয়ম অনেকটা এরকম: কিছু কার্ডে একটি করে সংখ্যা লেখা থাকবে এবং কার্ডগুলো দুইজনের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেয়া হবে। যে যত গুলো কার্ড পাবে, কার্ডের সংখ্যাগুলো ক্রমান্বয়ে যোগ করতে হবে। যে যত দ্রুত বলতে পারবে সেই হবে জয়ী। এ খেলাটির মাধ্যমে যে কোন সংখ্যার যোগ সহজেই আয়ত্তে চলে আসবে।

৩. ট্রিক্স মেথড:

এই মেথডটির সাহায্যে নিমিষেই চমকে দিতে পারো বন্ধুদের। মেথডটি অনেকটা এমন- প্রথমে যেকোন একটি সংখ্যা ধর। এরপর একে দ্বিগুণ কর। এর সাথে ৯ যোগ কর। যোগফল থেকে ৩ বিয়োগ করে ২ দ্বারা ভাগ কর। পরিশেষে, যে সংখ্যাটি প্রথমে ধরেছ তা থেকে ভাগফলটি বিয়োগ কর। কত হল ৩? এরকম আরও কিছু মেথড নিজেই বানিয়ে ফেলো এবং হয়ে উঠো আরো দক্ষ, আরো বুদ্ধিমান।

৪. সহায়ক হতে পারে বই:

পাঠ্যবইয়ের বাইরে বেশ কিছু বই আছে যা গণিতের দক্ষতা বাড়াতে কার্যকরী। নিয়মিত এই বইগুলো অনুসরণ করলে তা তোমাকে গণিতে আরও দক্ষ করে তুলতে পারে। এমন কিছু বইয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-  নিউরনে অণুরণন, গণিতের রঙ্গে-হাসিখুশি গণিত ইত্যাদি।

গণিতের ভয়কে কর জয়!

গণিত ভালো মত জানা থাকলে পুরো পৃথিবীটাই চলে আসবে তমার হাতের মুঠয়।

তাই আর দেরি না করে, মজায় মজায় গণিত শিখতে আজই ঘুরে এস ১০ মিনিট স্কুলের এই এক্সক্লুসিভ প্লে-লিস্টটি থেকে!

১০ মিনিট স্কুলের অঙ্ক ভিডিও সিরিজ

৫. স্পট ম্যাথ:

আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত নানা আকৃতির বস্তু দেখতে পাই। যেমন সিলিন্ডার, কোণক, বৃত্ত ইত্যাদি। এই আকৃতিগুলো দেখে এদের আয়তন সূত্রগুলো ঝালিয়ে নিতে পারি। স্পট বা জায়গা যা-ই হোক না কেন, খাতা-কলম ছাড়াই যে কোন স্পটে বসে করে ফেলা যায় এরকম ছোটখাটো কিছু ম্যাথ।

ছবি আঁকলে সমস্যা সমাধান করা অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়

৬. উদাহরণ দিয়ে ‍শেখা:

যেকোন জিনিস উদাহরণ দিয়ে শিখলে তা অনেক ভালভাবে বুঝা যায়। তাই কোন গাণিতিক সমস্যা সমাধানের সময় উদাহরণ দিয়ে চিন্তা করলে সহজে সমাধান করা যায়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি বাস্তবসম্মত উদাহরণ দিয়ে শেখা যায়।

৭. ছবির সাহায্যে সমাধান:

এটি মূলত ত্রিকোণমিতি, জ্যামিতির জন্য ব্যবহার হলেও অন্যান্য গাণিতিক  সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রেও এটি অনেক কার্যকর। ছবি আঁকলে সমস্যা সমাধান করা অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়।

কোনো সমস্যায় আটকে আছো? প্রশ্ন করার মত কাউকে খুঁজে পাচ্ছ না? যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে চলে যাও ১০ মিনিট স্কুল ফোরামে!

আমার একটি প্রশ্ন আছে

৮. নিয়মিত অনুশীলন:

গণিতে দক্ষ হতে হলে অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই। চর্চা না করলে গণিতে কখনোই ভাল করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিনই কিছু না কিছু গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে হবে।

একজন সৎ পুলিশ অফিসারের গল্প


সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার ওসি মো: মুরসালিন
অফিসার এর কথা বলছি? ঐ যে কিনা বাংলা ছবির সৎ পুলিশ অফিসারের মত বদলে দিতে চেয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলা কে।আগের দিনের বাংলা ছবিতে প্রায়ই দেখা যেতো,”অপরাধে ঘেরা একটি শহরে আসে সৎ একজন পুলিশ অফিসার আসেন যিনি পুরো শহরকে সৎ রাখতে চান,মানুষকে নিরাপত্তা দিতে চান,জনগনের সাথে বন্ধুর মত বিনয়ি নম্র ব্যবহার করেন।”আদতে কি এইরকম হয়?হ্যা অবশ্যই এইরকম বাস্তবেই হয় জগন্নাথপুর থানায় ।অনেকেই জানে আর অনেকেই হয়তো জানে না।সত্যিই এরকম একজন পুলিশ অফিসার আছেন সিলেটে, উনার নাম মো: মুরসালিন।২০১৫ সালের শেষের দিকে জগন্নাথপুর থানায় জয়েন্ট করেন। শুরু থেকেই উনি আধুনিকতা এবং দক্ষতার সাথে তার মেধার বিকাশ ঘটিয়ে অপরাধ কমাতে থাকেন।উনিই প্রথম কোন পুলিশ অফিসার যিনি কিনা বাংলাদেশে এতো আধুনিকতা , টেকনোলজি,সততা এবং দক্ষতা দিয়ে অপরাধ দমাতে পেরেছেন।ঐ এলাকার যে কোন মানুষ উনাকে বন্ধু ভাবতে পারে।কোন সাধারন মানুষ থানায় গিয়ে পুলিশের সাথে গল্প করতে করতে চা খায় এটা কি কল্পনা করতে পেরেছেন কখনো? কিন্তু উত্তরে বেশিরভাগ সাধারন মানুষ বলে ” মো: মুরসালিন এর সাথে থানায় বসে চা খেয়েছেনে।উনি সবাইকে আপন ভেবে চলেন।বাংলা ছবির পরের দৃশ্যগুলোর কথা মনে আছে? সেই সৎ পুলিশ অফিসারটি যখন অপরাধ কমিয়ে আনে ঠিক তখনই ক্ষমতাবান কিছু উচু শ্রেণীর মানুষ সেই সৎ পুলিশ অফিসারটিকে বদলি দেওয়ার জন্য উঠে পরে লাগে।বাস্তবে এমনই হতে পারে।একি সৎ পুলিশ অফিসারের পুরস্কার? যদিও উনি বলছেন না কিছু।জগন্নাথপুর থানায় বিভিন্ন বাজারের প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করা হত কিন্তু উনার নেতৃত্ব তা দমন হয়েছে।বিগত কয়েক দিন আগে সৈয়দপুরে গভীর রাতে ১৩ জন পুলিশ ১২ জন অস্ত্রধারী ডাকাতকে গ্রেফতার করে,উনার সাহসিকতায় ও দক্ষতায়।উনার বন্ধু সুলভ ব্যবহারে জগন্নাথপুরের মানুষ মামলা মুকদ্দমা থেকে মুক্ত হয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারছে। তবে বাংলাদেশে এরকম সৎ পুলিশ অফিসারের এরকম জায়গায় থাকা জরুরি একথা সব মানুষই জানে। সৎ থাকার পুরস্কার,উনি পেয়েছেন সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ট পুলিশ অফিসার পদক।দেশকে বদলে দেবার পুরস্কার পেলেন উনি।জনগনের বন্ধু হবার পুরস্কার পেলেন উনি।অনেক সাধারন মানুষ ধিক্ষার জানিয়েছেন তাদের যারা মো: মুরসালিন কে বদলি করে দিতে চায়।সর্বশেষ একটি কথা হল “জগন্নাথপুর থানা দেশের বাইরে না যে জায়গায় থাকেন না কেন দেশপ্রেম সেখানেও দেখিয়ে যাবেন এই সৎ পুলিশ অফিসার মো: মুরসালিন ।

কিভাবে আমি নিজেকে দক্ষ করলাম?

কেন আমি আজকে এ জায়গাতে, সবাই কষ্ট করে পড়ে দেখবেন। নিজের সাথে মিলিয়ে দেখবেন। লেখাটি সবার জন্য উপদেশ হিসেবে দেখার অনুরোধ রইল। আমার নিজের ব্যপারে অহংকার করে কিছু লিখছিনা। একদম নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে খুজে বের করে লিখলাম সবার জন্য। বিজয় সবার হবেই, বিজয়ের জন্য অনেক গুণ থাকতে হবে।

দক্ষতা অর্জনের নেশা:

দক্ষতা অর্জনের নেশাটা অনেক বেশি ছিল, এখনও আছে। কারও কাছ থেকে কিছু শিখতে পারলে, তার প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ থাকি। কিছু শিখার নেশাটাই আজকে আমাকে এ জায়গাতে এনেছে। এখনও নিজেকে অনেকে অজ্ঞ একজন মনে হয়। মনে হয় যেন, এ অনলাইন জগতে ভালভাবে কাজ করার মত যোগ্য এখনও হয়ে উঠতে পারিনি। আর এ কারনে প্রতিদিন প্রচুর সময় ব্যয় করি নতুন নতুন বিষয় শিখার জন্য। হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্কিং শিখে ক্যারিয়ার গড়েছিলাম। গ্রাফিক ডিজাইন শিখে টুকটাক কাজ করেছিলাম। অ্যানিমেশন শিখে নেশার মত অনেক কাজ করেছিলাম। ওয়েবডিজাইন শিখে প্রচুর ইনকাম করেছি। এসইও শিখে কাজ করছি অনেকদিন। অনেক ব্যস্ততার জন্য প্রবল ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও মোবাইল অ্যাপস শিখার কয়েকবার প্রস্তুতি নেওয়ার পরও শিখা ধরতে পারিনি। এবং এ বিষয়টি শিখতে পারছিনা, সেই আফসোস খুব বেশি কুড়ে কুড়ে খায় আমাকে। শিখার এ নেশাটা থাকার জন্য আল্লাহকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ভাল নেশাটির জন্যই এটুকু দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছি।

অসম্ভব শব্দটিকে ঘৃণা করেছি:

কোন কাজ দেখে মাথাতে আনিনি, এটা কি আমাকে দ্বারা সম্ভব হবে? সবসময় মাথাতে ছিল, অন্য কেউ যদি পেড়ে থাকে, আমার দ্বারাও সেটি করা সম্ভব হবে।  অন্যরাও কেউ জন্ম থেকে কোন কিছু পেরে আসেনি। চেষ্টা , পরিশ্রম, সাধনার পরেই সব কিছু পেরেছে।  বিশ্বাস ছিল, আমিও সাধনা এবং পরিশ্রম করলে এবং বিষয়টি নিয়ে লেগে থাকলে অবশ্যই যেকোন বিষয়ে সফল হবই। এ বিশ্বাসটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করি এখন। আমার ডিকশেনারীতে সবচাইতে ঘৃণিত শব্দ হচ্ছে, ”অসম্ভব”।  লেখালিখিটাকেও অসম্ভব ভাবলে এখন লিখতে পারতাম না।  শুরুর দিকে অনেকেই আমার লেখাকে নিয়ে কটাক্ষ করত। সেগুলোকে সহ্য করে হারিয়ে যাইনি।  চ্যালেঞ্জ নিয়েছি, একদিন আমার লিখা সবার কাছে প্রিয় হবে। যারা আমার লেখাকে ভুল ধরে কটাক্ষ করতো, তারাও আজকে আমার লেখাকে সেরা হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।

ব্যর্থতার জন্য নিজেকে দায়ি:

যেকোন কিছু অর্জনের ব্যপারে কারও উপর নির্ভরের চাইতে আমার নিজের উপরই বেশি নির্ভর করেছি। আর সেজন্য কারও ব্যপারে কখনও অভিযোগটা মাথাতে আসেনি। অভিযোগটা আসলে আমার নিজের উপরই সবসময় ছিল। চাইলে অনেকের উপরই অভিয়োগ করার ছিল। অন্যের কাছ থেকে যা পেয়েছি, সেটি হিসেব করলে সবচাইতে বেশি অভিযোগ আমার হওয়ার কথা। কিন্তু সবার বিন্দু পরিমান অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আমার নিজের ব্যপারেই অনেক অভিযোগ আমার। আর সেজন্যই নিজের দুর্বল দিকগুলোকে সবসময় পরিবর্তন করতে পেরেছি। এখনও এ কাজটি করি। আমার টীম মেম্বারদের অনেকে সক্রিয়ভাবে কাজ না করলে তাদের লিডাররা, সেসব মেম্বারদের ব্যপারে অভিয়োগ করলে আমি বলি, সবকিছুর জন্য আমি দায়ি। কারণ আমি ভাল নেতৃত্ব দিতে পারিনি, সেজন্য টীম মেম্বারদের হতে ভাল কাজ আদায় করতে পারিনি। সেটার জন্য মেম্বাররা দায়িনা। নিজেকে এভাবে দায়ি করতে পারার কারনে নিজের নেতৃত্বের গুণকে আপডেট করার দিকে নজর দিতে পারছি।

ধৈয্য শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা:

ধৈয্য শক্তি বৃদ্ধির জন্য সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি। কোন নতুন কিছু ফলাফল না পেলে আমিও হতাশ হয়ে পড়ি। তখন লেগে থাকার ধৈয্য শক্তিটা অর্জনের চেষ্টাটা বাড়ানো চেষ্টা করে যাচ্ছি। কারণ বিশ্বাস করি, একটা বিষয় নিয়ে অনেকদিনের গবেষণা, এবং ধৈয্য ধরে লেগে থাকলে সেটাতে দক্ষ অবশ্যই হবই। প্রচুর ব্যর্থতা, প্রচুর ক্ষতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সবসময়। মানুষের বাটপারির কারনে বিশাল বিশাল লসের মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছে। কিন্তু এরপরও নিজের ধৈয্য চ্যুতি ঘটাইনি, ট্র্যাক হারায়নি। লক্ষ্য আমার স্থির ছিল, ধৈয্য ধরে লক্ষ্য পানে এগিয়ে চলেছি।

কিছু অর্জনের জন্য ব্যাপক সেক্রিফাইস:

কোন কিছু অর্জন এত সহজ নয়। বিশাল সেক্রিফাইস করেই কিছু অর্জন করা সম্ভব। নিজে যখন দক্ষ হওয়ার চেষ্টা শুরু করি, তখন থেকে প্রচুর পরিমানে মানুষের কাজ ফ্রিতে করে দিয়ে নিজেকে দক্ষ এবং একই সাথে দক্ষতাকে মানুষের কাছে প্রচারের চেষ্টা চালিয়ে যাই। সেটার সুফল এখন পাচ্ছি। এখন কোন কিছুর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছেনা। বরং আমার সার্ভিসের জন্যই অনেকে অপেক্ষা করছে। এ অর্জনটির জন্য অনেক সেক্রিফাইস এবং কষ্ট করতে হয়েছে।

পরিশ্রমই আসল কথা

আমার সকল অর্জন আমার নিজের পরিশ্রমের জন্য। পরিশ্রমের সংজ্ঞা কাকে বলে সেটা আমার টীম মেম্বাররা সবসময় কাছ থেকে আমাকে দেখে শিখে। ২৪ঘন্টাতে ২০ঘন্টা পযন্ত কাজ করি। যখন ১ম ক্যারিয়ার শুরু করি, তখন পরিশ্রম করতে গিয়ে একসময়ে এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছিল, ৩মাসের বেড রেস্টে চলে যেতে হয়েছিল। ঘরের ভিতরেও ২জনের কাধে ভর করে টয়লেটে যেতে হয়েছিল। এখনও নতুন কোম্পানী চালাতে গিয়ে অফিসের কমপক্ষে ৫জনের কাজ একা করে যাচ্ছি। এ পরিশ্রমটাই করেই সফলতা বের করে নিয়ে আছি। পরিশ্রম করার পরের দিনই কিছু পাওয়ার স্বপ্ন দেখিনা। কিন্তু জানি, পরিশ্রমের ফল কিছুনা কিছু পাবই।

ব্যর্থতার জন্য উছিলা

কোন ধরনের বাধাকেই উছিলা হিসেবে ব্যবহার করিনি। কোথাও কোর্স করার মত টাকা ছিলনা, কিন্তু সেটা আমার শিখার জন্য বাধা হতে পারেনি। নিজে নিজে কষ্ট করে শিখেছি সব। কোন এক অজানা কারনে কোন বিপদে খুব কমই মানুষকে পাশে পাই। কিন্তু সেটা নিয়ে মনের ভিতর অল্প স্বল্প দু:খ থাকলেও বিষয়টাকে উছিলা দেইনি। পরিবারের সকল দায়িত্বটুকু আমার উপরই ছিল। বাসাতে কাজ করার মত পরিবেশটাও ছিলনা। সেটিকে কোন ধরনের উছিলা হিসেবে ধরিনি। কোন ধরনের উৎসব কিংবা নিজের অসুস্থতাকে উছিলা ধরেও নিজেকে দমিয়ে রাখিনি। বিয়ের আগের রাতেও কাজ করেছি। বিয়ের ২দিন পর থেকে কাজ শুরু করেছি। নিজের কোন ধরনের ব্যর্থতার জন্য কোন কিছুকে উছিলা হিসেবে ধরিনি। শুধু বলেছি, নিজের আলস্যতার জন্যই সবকিছুকে ম্যানেজ করতে পারছিনা।
এ গল্পটা শুধু আমার না। আজকে যাদের সফলতা দেখে হিংসা করছেন, সবার গল্পটাই একই রকম। সবাই সবার এ যোগ্যতা দিয়েই আজকের এ অবস্থানে এসেছে। আর আপনি যদি আশা করেন, খুব সহজেই এ জায়গাতে এসে পড়বেন। আর ব্যর্থ হলে বলে ফেলবেন, আপনার কপাল খারাপ !! আসলে কি কপাল খারাপ নাকি এখন পযন্ত পাওয়ার মত কিছুই করতে পারেননি, সেটা সবার ভেবে দেখার দরকার।