পৃষ্ঠাসমূহ

Sunday, August 13, 2017

কিভাবে মানুষের মন পড়ে ফেলবেন কিছুক্ষনের মধ্যেই?

 

মানুষের মন পড়ে ফেলা খুব কঠিন একটি কাজ। কিন্তু একেও সহজ করে ফেলা যায়। কিভাবে কারো মন পড়ে ফেলবেন? আসুন বিজ্ঞানের দিকে তাকাই। বিজ্ঞান মানুষের বহু তথ্য সাধনা আর রেকর্ডের সমাহার ছাড়া আর কি, যেখানে যে যা ভেবেছেন তাই সংগ্রহ করে গেছেন। অন্যরা তাই দেখে কিংবা প্রাকটিস করে নতুন কিছু করেছেন। তাই এবার ফিরে আসি কিভাবে মানুষের মন পড়ে ফেলবেন 

সম্ভব? আমি বলছি হ্যাঁ। অনেক উপায় আছে যার ফলে বুঝে ফেলা যায় মানুষ কি বলতে চাচ্ছে। কি নিয়ে সে খুব হতাশ। এসব। এর জন্য খুব কৌশলী হবার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। শুধু কমন সেন্স কাজে লাগিয়ে পুরো ব্যাপারটাই করা যায়। মানুষের মন পড়ে ফেলার জন্য তার মাথা ছেদ করে মগজে যাবার কোন দরকার নেই। অনেকটা মাইন্ড হ্যাকার যাকে বলে সেটাই করতে হয়।

শারীরিক প্রকাশঃ মানুষের শরীর তার মনের প্রকাশ করে। চোখ, মুখ , কপাল, হাত এসব অংগ খুব পরিষ্কার আপনাকে জানায় যে কী চাচ্ছে একটি মন।

পড়তে হবে ঠোঁটঃ একথা কে না জানে, মানুষের চিন্তা কিংবা মন পাল্টানোর সাথে সাথে ঠোঁট এর অবস্থান পালটায়।

সময়জ্ঞানঃ মানুষের মাঝে আর যা-ই থাকুক সময় নিয়ে একটা চরম ছন্দ আছে। এই যেমন ঘুম থেকে উঠা, খাবার গ্রহন, কিংবা বাইরে বেরুনো সব কিছুই সময় দিয়ে কাউণ্ট এবং পরিচালনা করে মানুষ। এই যুগে যিনি একেবারে নিন্মস্তরের কাজ করে জীবিকা চালান তিনিও সময় নিয়ে অনেক কিছু ভাবেন। তাহলে সময় নিয়ে আপনার কমন সেন্স কী দাঁড় করাতে পারছেন? সহজ একটা উদাহরন হল- এই মুহুর্তে জানতে চান আপনার সামনে বসে থাকা মানুষটি কী করতে চাচ্ছে। খুব সহজ সময়ের দিকে তাকান, সময় যদি হয় দশটা কুড়ি তাহলে ভাবুন এই মুহুর্তে সাধারন মানুষের কি কাজ থাকে? নিশচয় কেউ খেতে চাইবে না।

 

পরিবেশঃ বাসায় একটা মানুষ যেটা করতে চায় বাইরে কিংবা রাস্তা বা পার্কে নিশ্চয় তা করবে না। এজন্য পরিবেশ দেখে নিন। অনুমান করুন কী দরকার এখানে।

 

প্রাক্টিসঃ আরো অনেক ব্যপার আছে যা নিয়ে চর্চা করতে হয় অনেক দিন। একদিন এমন অবাক করা কথা আপনিও বলে বসবেন যেদিন পাকা মাইন্ড হ্যাকার নিজেই ভড়কে যাবেন।

ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করুন। ।

১. ভয়ের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই । এর উৎস হচ্ছে অতীত আর নির্মম শিকার হচ্ছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ।
২. সফল মানুষ বিশ্বাসকে গুরুত্ব দেন আর ব্যর্থরা বাস্তবতার দোহাই দেয় ।
৩. প্রস্তুতি ছাড়া যাত্রা পথের কষ্টকে বাড়িয়ে দেয়। স্বপ্ন ও বিশ্বাস পথ চলার সে প্রস্তুতিরই সূচনা করে ।
৪. জীবন থেকে সত্যকে শিখুন। আর বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়া কোনো সত্যই নিজস্ব হয় না ।
৫. আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যা কিছু নিয়ে অহংকার করা হয়েছে, তা-ই তার পতনের কারণ হয়েছে ।
৬. আত্মা সবসময় ভাবে, ‘আমি কী দিতে পারি’। আর অহম ভাবে ‘আমি কী পেতে পারি’ বা ‘আমি কী পেলাম’ ।
৭. প্রতিটি কাজ করার আগে অন্তত একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন- কাজটি আপনি কেন করবেন ।
৮. একটি কাজ না করার পেছনে হাজারটি অজুহাত দেখানো যায়, কিন্তু কাজটি করার জন্যে একটি কারণই যথেষ্ট ।
৯. প্রতিটি কাজ শুরু হয় শূন্য থেকে। ধাপে ধাপে তা পূর্ণতা পায় ।
১০. করতে না পারা আর না করে কাজ ফেলে রাখার মধ্যে ব্যবধান হচ্ছে- প্রথমটি পারিপার্শ্বিক প্রভাবে প্রভাবিত আর দ্বিতীয়টি ব্যক্তির খেয়ালিপনা ।
১১. নিজের কাছে নিজে সৎ থাকুন । প্রতিটি কাজে আপনার পক্ষে যা করা সম্ভব, আন্তরিকতার সঙ্গে করুন ।
১২. বুদ্ধিমানরা সবসময় কথা বা কাজের আগে চিন্তা করে। আর বোকারা চিন্তা করে (পস্তায়) কাজের পরে ।
১৩. নিখুঁত ও বাস্তবানুগ পরিকল্পনা যেকোনো কাজ সুসম্পন্নের অর্ধেক ।
১৪. দায়িত্ব নিতে ভয় পাবেন না । তাহলেই নতুন কিছু শিখতে পারবেন ।
১৫. আনন্দের অনুভূতি মনের শক্তিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে লাগায় ।
১৬. শোকর হলো আনন্দে স্নাত হয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন । আর সবর হলো প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নীরব সংগ্রাম ।
১৭. আজ পর্যন্ত কোনো ভিক্ষুক দাতা বা স্বাবলম্বী হতে পারে নি । যে হাত নিতে অভ্যস্ত সে হাত কখনো দিতে পারে না ।
১৮. যে বলার পেছনে অনুশীলন নেই তা ক্ষণিকের জন্যে মোহিত করলেও শ্রোতাকে অনুপ্রাণিত করতে পারে না ।
১৯. একজন জ্ঞানী জানেন যে তিনি কী জানেন না। আর একজন মূর্খ নিজেকে সবসময় সবজান্তা মনে করে ।
২০. ‌প্রতিটি মানুষ বড় হতে পারে তার জীবনের মনছবি বা স্বপ্নের সমান ।
২১. যে স্বপ্ন দেখতে জানে, প্রতীক্ষা করতে পারে, সে প্রতীক্ষার কষ্টও হাসিমুখে সইতে পারে ।
২২. সুযোগ হাতছাড়া করবেন না । অতীতের দিকে তাকালে দেখবেন, কাজ করে অনুতাপ করার চেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করে আপনি বেশি অনুতপ্ত হয়েছেন ।
২৩. যেকোনো ঘটনাকে সহজভাবে গ্রহণ করাই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ।
২৪. বই-কিতাব পড়ে তাত্ত্বিক বা তার্কিক হওয়া যায়, আত্ম আবিষ্কারক হওয়া যায় না। আত্ম আবিষ্কারের জন্যে প্রয়োজন আত্মনিমগ্নতা ।
২৫. প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় গ্রহ-নক্ষত্র সৃষ্টি হয় । আর মানুষের মেধা বিকশিত হয় সযত্ন প্রয়াসের মধ্য দিয়ে ।
২৬. কাজে উদ্যোগী না হলে প্রতিটি কাজই অসম্ভব মনে হয় ।
২৭. ভয় বা আশঙ্কা হচ্ছে শয়তানের ছায়া আর বিশ্বাস হচ্ছে স্রষ্টার নূরের ছটা ।
২৮. নেতৃত্বকে অনুসরণ করুন। তাহলে আপনিও নেতা হতে পারবেন ।
২৯. সত্যিকার যোদ্ধা সে-ই, যে জানে কখন অস্ত্র সংবরণ করতে হয় ।
৩০. আহাম্মক বিশ্রাম খোঁজে। বুদ্ধিমান খোঁজে শুধু কাজ ।
৩১. ভয়ের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই । এর উৎস হচ্ছে অতীত আর নির্মম শিকার হচ্ছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ।
৩২. মানুষ যখন অবৈজ্ঞানিক ও প্রকৃতি-বিরুদ্ধ জীবন যাপন করেছে তখনই তার দুঃখ ও দুর্ভোগ এসেছে ।
৩৩. নিজের পরিবর্তন না এনে আমরা অন্যের পরিবর্তন দেখতে চাই । তাই আমাদের সত্যিকার পরিবর্তন আসে না ।
৩৪. অন্যকে সে-ই অনুপ্রাণিত করতে পারে যে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয় না ।
৩৫. সামাজিক মুখোশ নয়, অন্তর্গত শক্তিই হচ্ছে ব্যক্তিত্ব ।
৩৬. রাগ ও অভিমান করে বোকা ও দুর্বলরা । বুদ্ধিমানরা কৌশলে পরিস্থিতি বদলে দেয় ।
৩৭. নতুন বন্ধুত্ব করুন । কিন্তু পুরনো বন্ধুত্বকেও গুরুত্ব দিন ।
৩৮. যে সম্পর্ককে ছেদ করা যায় না, সে সম্পর্কের মাঝে দেয়াল রচনা করবেন না । সেখানে মমতার বন্ধন তৈরি করুন ।
৩৯. সংশয় হলো বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মধ্যবর্তী অবস্থান । বিশ্বাস থেকে বিচ্যুতির প্রথম ধাপই হলো সংশয় ।
৪০. কাম শৃঙ্খলিত করে । আর প্রেম জীবনকে শৃঙ্খল মুক্ত করে ।
৪১. আপনার পরিচিত বলয়ের ঈর্ষাকারী ও পরচর্চাকারীদের সাথে মানসিক সম্পর্ক ছেদ করুন । তাহলেই তারা আর আপনার প্রশান্তি নষ্টের কারণ হবে না ।
৪২. প্রতিপক্ষের সাথে সংলাপের পথকে কখনো বন্ধ করবেন না। কারণ বিশ্বাস নিয়ে মোকাবেলা করলে পৃথিবীর কোনো প্রতিপক্ষই অজেয় নয় ।
৪৩. পথে নামলে পথই পথ দেখায় ।
৪৪. প্রতিযোগীর যেকোনো বক্তব্য বা সমালোচনাকে মূল্যায়ন করুন । সে-ই বিজয়ী হয়, যে প্রতিপক্ষের কৌশল সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান রাখে ।
৪৫. আন্তরিক প্রার্থনায় প্রার্থনা, প্রার্থনাকারী ও প্রার্থনা কবুলকারী একাকার হয়ে যান ।
৪৬. দক্ষতা ছাড়া সততা শক্তিহীন ।
৪৭. প্রতি মুহূর্তের হাজারটি বিকল্প কর্মপন্থার মধ্য থেকে সর্বোত্তমটি বেছে নেয়ার স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষমতাই প্রজ্ঞা ।
৪৮. আত্মবিশ্বাস এবং অহংকারের মধ্যে পার্থক্য হলো- আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি আত্মজ্ঞান আর অহংকারের ভিত্তি জৈবিক চেতনা ।
৪৯. ক্ষোভ হচ্ছে এমন এক বিষ যা আপনি নিজে পান করছেন আর ভাবছেন মারা যাবে আপনার প্রতিপক্ষ ।
৫০. জৈবিক আমিত্ব বিপন্নবোধ করলেই আমরা দুর্ব্যবহার করি। দুর্ব্যবহার আমাদের পশু সত্তার স্বরূপ প্রকাশ করে ।
৫১. সবলের অহম প্রকাশ পায় শক্তির মদমত্ততায়। আর দুর্বলের অহম প্রকাশ পায় ঘৃণায় ।
৫২. কর্ম ছাড়া প্রার্থনা কবুল হয় না ।
৫৩. মানুষ যখনই সীমালঙ্ঘন করেছে- মন্দ কাজে, এমনকি ভালো কাজেও- তখনই তার জীবনে বিপর্যয় এসেছে ।
৫৪. আত্মিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিন। আত্মিক সম্পর্ক ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করে ।
৫৫. প্রয়োজন আর অভাববোধ এক নয়। অভাববোধ হলো প্রয়োজন মেটার পরও আরো বেশি পাওয়ার জন্যে অস্থিরতা ।
৫৬. সময়কে নিয়ন্ত্রণে রাখুন, অনেক কিছুই আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে ।
৫৭. সময়ের যোগফলই জীবন। সে মানুষই সফল, যে পরিকল্পিতভাবে সময়কে কাজে লাগায় ।
৫৮. কোনো পরাজয়ই ব্যর্থতা নয়, যদি সে পরাজয় মানসিকভাবে আপনাকে পরাজিত করতে না পারে ।
৫৯. বস্তুর সীমাবদ্ধতা হলো- তা পাওয়ার আগ পর্যন্ত অস্থিরতা কাজ করে। কিন্তু পাওয়া হয়ে গেলেই তা তৃপ্তি দেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ।
৬০. মুক্তির পথে অন্তরায় হলো অনিশ্চয়তাবোধ এবং ঝুঁকি নেয়ার সাহসের অভাব ।
৬১. আত্মবিকাশের অধিকার কেউ কাউকে দেয় না। তা আদায় করে নিতে হয় ।
৬২. বিনাশ্রমে অর্থলাভের প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রতারকদের একটি সাধারণ টোপ ।

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, রাজশাহী


বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী শহরে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। এটি প্রত্ন সংগ্রহে সমৃদ্ধ। এই প্রত্ন সংগ্রহশালাটি ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি পরিচালনা করে থাকে।

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর

প্রত্নতত্ত্বধ্রুপদীআলংকারিক এবং সমসাময়িক শিল্পইতিহাস এবং প্রাকৃতিক ইতিহাসনৃবিদ্যাবিশ্ব সভ্যতা

প্রতিষ্ঠাতা লর্ড কারমাইকেল  তত্ত্বাবধানঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট ru.ac.bd

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থল হেতেম খাঁ-তে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা। বরেন্দ্র জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজপরিবারের জমিদার শরৎ কুমার রায়, আইনজীবী অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এবং রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এর শিক্ষক রামপ্রসাদ চন্দ্রের উল্লেখযোগ্য আবদান রয়েছে।১৯১০ খ্রিস্টাব্দে তারা বাংলার ঐতিহ্য ও নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠন করেন। ঐ বছরে তারা রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩২টি দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন সংগ্রহ করেন। এই নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করার জন্য শরৎ কুমার রায়ের দান করা জমিতে জাদুঘরটির নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষ হয় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে। একই বছরের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেল জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন।

১৯১১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা জাদুঘর অকস্মাৎ এতে সংরক্ষিত সকল নিদর্শন দাবি করে বসে। তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেলের প্রচেষ্টায় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে জারীকৃত একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরেন্দ্র জাদুঘরকে এর নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যপারে স্বাধীকার প্রদান করা হয়।

১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের সাথে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের খনন কাজ শুরু করে। পরবর্তিতে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির একক প্রচেষ্টায় পাহাড়পুর থেকে ২৫৬টি নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের পরে জাদুঘরটির অস্তিত্ত্ব নিয়ে সংকট দেখা দেয়। ১৯৪৯ থেকে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ পযর্ন্ত জাদুঘর ভবনটির অর্ধেকাংশ মেডিকেল স্কুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে জাদুঘরটি বন্ধ হবার উপক্রম হলে ঐ বছরের ১০ অক্টোবর তারিখে এর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিগ্রহণ করে। জাদুঘরটির পরিদর্শকদের মধ্যে রয়েছেন মহাত্মা গান্ধীনেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখ সহ আনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ।

বরেন্দ্র জাদুঘরের সংগ্রহ সংখ্যা ৯ হাজারেরও অধিক। এখানে হাজার বছর আগের সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। মহেনজোদারো সভ্যতা থেকে সংগৃহীত প্রত্নতত্ত, পাথরের মূর্তি, খিষ্ট্রীয় একাদশ শতকে নির্মিত বুদ্ধ মূর্তি, ভৈরবের মাথা, গঙ্গা মূর্তি সহ অসংখ্য মূর্তি এই জাদুঘরের অমূল্য সংগ্রহের অন্তর্ভুত। মোঘল আমলের রৌপ্র মুদ্রা, গুপ্ত সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের গোলাকার স্বর্ণমুদ্রা, সম্রাট শাহজাহানের গোলাকার রৌপ্য মুদ্রা বিশেষ ভাবে উল্যেখয়োগ্য। এখানে প্রায় ৫০০০ পুঁথি রয়েছে যার মধ্যে ৩৬৪৬টি সংস্কৃত আর বাকিগুলো বাংলায় রচিত। পাল যুগ থেকে মুসলিম যুগ পযর্ন্ত সময় পরিধিতে অঙ্কিত চিত্রকর্ম, নূরজাহানের পিতা ইমাদ উদ দৌলার অঙ্কিত চিত্র এখানে রয়েছে।

এই জাদুঘরে ১২ সহস্র গ্রন্থ সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থশালা রয়েছে। জাদুঘরটিকে ৭টি প্রদর্শনকোষ্ঠে ভাগ করা হয়েছে।

প্রথম প্রদর্শনকোষ্ঠে নওগাঁর পাহাড়পুর তেকে উদ্ধারকৃত ২৫৬টি ঐতিহাসিক সামগ্রী রয়েছে।
দ্বিতীয় প্রদর্শনকোষ্ঠে আছে হিন্দু ও বৌদ্ধদের তৈরী কাঠ ও পাথরের নানা ভাস্কর।
তৃতীয় ও চতুর্থ প্রদর্শনকোষ্ঠে রয়েছে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি।পঞ্চম প্রদর্শনকোষ্ঠে আছে বৌদ্ধ মূর্তি।ষষ্ঠ প্রদর্শনকোষ্ঠে রয়েছে বিভিন্ন ভাষায় লিখিত পাথরের খণ্ড।সপ্তম প্রদর্শনকোষ্ঠে সংরক্ষিত আছে বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ।