মানুষের মন পড়ে ফেলা খুব কঠিন একটি কাজ। কিন্তু একেও সহজ করে ফেলা যায়। কিভাবে কারো মন পড়ে ফেলবেন? আসুন বিজ্ঞানের দিকে তাকাই। বিজ্ঞান মানুষের বহু তথ্য সাধনা আর রেকর্ডের সমাহার ছাড়া আর কি, যেখানে যে যা ভেবেছেন তাই সংগ্রহ করে গেছেন। অন্যরা তাই দেখে কিংবা প্রাকটিস করে নতুন কিছু করেছেন। তাই এবার ফিরে আসি কিভাবে মানুষের মন পড়ে ফেলবেন –
সম্ভব? আমি বলছি হ্যাঁ। অনেক উপায় আছে যার ফলে বুঝে ফেলা যায় মানুষ কি বলতে চাচ্ছে। কি নিয়ে সে খুব হতাশ। এসব। এর জন্য খুব কৌশলী হবার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। শুধু কমন সেন্স কাজে লাগিয়ে পুরো ব্যাপারটাই করা যায়। মানুষের মন পড়ে ফেলার জন্য তার মাথা ছেদ করে মগজে যাবার কোন দরকার নেই। অনেকটা মাইন্ড হ্যাকার যাকে বলে সেটাই করতে হয়।
শারীরিক প্রকাশঃ মানুষের শরীর তার মনের প্রকাশ করে। চোখ, মুখ , কপাল, হাত এসব অংগ খুব পরিষ্কার আপনাকে জানায় যে কী চাচ্ছে একটি মন।
পড়তে হবে ঠোঁটঃ একথা কে না জানে, মানুষের চিন্তা কিংবা মন পাল্টানোর সাথে সাথে ঠোঁট এর অবস্থান পালটায়।
সময়জ্ঞানঃ মানুষের মাঝে আর যা-ই থাকুক সময় নিয়ে একটা চরম ছন্দ আছে। এই যেমন ঘুম থেকে উঠা, খাবার গ্রহন, কিংবা বাইরে বেরুনো সব কিছুই সময় দিয়ে কাউণ্ট এবং পরিচালনা করে মানুষ। এই যুগে যিনি একেবারে নিন্মস্তরের কাজ করে জীবিকা চালান তিনিও সময় নিয়ে অনেক কিছু ভাবেন। তাহলে সময় নিয়ে আপনার কমন সেন্স কী দাঁড় করাতে পারছেন? সহজ একটা উদাহরন হল- এই মুহুর্তে জানতে চান আপনার সামনে বসে থাকা মানুষটি কী করতে চাচ্ছে। খুব সহজ সময়ের দিকে তাকান, সময় যদি হয় দশটা কুড়ি তাহলে ভাবুন এই মুহুর্তে সাধারন মানুষের কি কাজ থাকে? নিশচয় কেউ খেতে চাইবে না।
পরিবেশঃ বাসায় একটা মানুষ যেটা করতে চায় বাইরে কিংবা রাস্তা বা পার্কে নিশ্চয় তা করবে না। এজন্য পরিবেশ দেখে নিন। অনুমান করুন কী দরকার এখানে।
প্রাক্টিসঃ আরো অনেক ব্যপার আছে যা নিয়ে চর্চা করতে হয় অনেক দিন। একদিন এমন অবাক করা কথা আপনিও বলে বসবেন যেদিন পাকা মাইন্ড হ্যাকার নিজেই ভড়কে যাবেন।