পৃষ্ঠাসমূহ

Sunday, August 13, 2017

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, রাজশাহী


বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী শহরে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। এটি প্রত্ন সংগ্রহে সমৃদ্ধ। এই প্রত্ন সংগ্রহশালাটি ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি পরিচালনা করে থাকে।

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর

প্রত্নতত্ত্বধ্রুপদীআলংকারিক এবং সমসাময়িক শিল্পইতিহাস এবং প্রাকৃতিক ইতিহাসনৃবিদ্যাবিশ্ব সভ্যতা

প্রতিষ্ঠাতা লর্ড কারমাইকেল  তত্ত্বাবধানঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট ru.ac.bd

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থল হেতেম খাঁ-তে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা। বরেন্দ্র জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজপরিবারের জমিদার শরৎ কুমার রায়, আইনজীবী অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এবং রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এর শিক্ষক রামপ্রসাদ চন্দ্রের উল্লেখযোগ্য আবদান রয়েছে।১৯১০ খ্রিস্টাব্দে তারা বাংলার ঐতিহ্য ও নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠন করেন। ঐ বছরে তারা রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩২টি দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন সংগ্রহ করেন। এই নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করার জন্য শরৎ কুমার রায়ের দান করা জমিতে জাদুঘরটির নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষ হয় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে। একই বছরের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেল জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন।

১৯১১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা জাদুঘর অকস্মাৎ এতে সংরক্ষিত সকল নিদর্শন দাবি করে বসে। তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেলের প্রচেষ্টায় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে জারীকৃত একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরেন্দ্র জাদুঘরকে এর নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যপারে স্বাধীকার প্রদান করা হয়।

১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের সাথে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের খনন কাজ শুরু করে। পরবর্তিতে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির একক প্রচেষ্টায় পাহাড়পুর থেকে ২৫৬টি নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের পরে জাদুঘরটির অস্তিত্ত্ব নিয়ে সংকট দেখা দেয়। ১৯৪৯ থেকে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ পযর্ন্ত জাদুঘর ভবনটির অর্ধেকাংশ মেডিকেল স্কুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে জাদুঘরটি বন্ধ হবার উপক্রম হলে ঐ বছরের ১০ অক্টোবর তারিখে এর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিগ্রহণ করে। জাদুঘরটির পরিদর্শকদের মধ্যে রয়েছেন মহাত্মা গান্ধীনেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখ সহ আনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ।

বরেন্দ্র জাদুঘরের সংগ্রহ সংখ্যা ৯ হাজারেরও অধিক। এখানে হাজার বছর আগের সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। মহেনজোদারো সভ্যতা থেকে সংগৃহীত প্রত্নতত্ত, পাথরের মূর্তি, খিষ্ট্রীয় একাদশ শতকে নির্মিত বুদ্ধ মূর্তি, ভৈরবের মাথা, গঙ্গা মূর্তি সহ অসংখ্য মূর্তি এই জাদুঘরের অমূল্য সংগ্রহের অন্তর্ভুত। মোঘল আমলের রৌপ্র মুদ্রা, গুপ্ত সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের গোলাকার স্বর্ণমুদ্রা, সম্রাট শাহজাহানের গোলাকার রৌপ্য মুদ্রা বিশেষ ভাবে উল্যেখয়োগ্য। এখানে প্রায় ৫০০০ পুঁথি রয়েছে যার মধ্যে ৩৬৪৬টি সংস্কৃত আর বাকিগুলো বাংলায় রচিত। পাল যুগ থেকে মুসলিম যুগ পযর্ন্ত সময় পরিধিতে অঙ্কিত চিত্রকর্ম, নূরজাহানের পিতা ইমাদ উদ দৌলার অঙ্কিত চিত্র এখানে রয়েছে।

এই জাদুঘরে ১২ সহস্র গ্রন্থ সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থশালা রয়েছে। জাদুঘরটিকে ৭টি প্রদর্শনকোষ্ঠে ভাগ করা হয়েছে।

প্রথম প্রদর্শনকোষ্ঠে নওগাঁর পাহাড়পুর তেকে উদ্ধারকৃত ২৫৬টি ঐতিহাসিক সামগ্রী রয়েছে।
দ্বিতীয় প্রদর্শনকোষ্ঠে আছে হিন্দু ও বৌদ্ধদের তৈরী কাঠ ও পাথরের নানা ভাস্কর।
তৃতীয় ও চতুর্থ প্রদর্শনকোষ্ঠে রয়েছে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি।পঞ্চম প্রদর্শনকোষ্ঠে আছে বৌদ্ধ মূর্তি।ষষ্ঠ প্রদর্শনকোষ্ঠে রয়েছে বিভিন্ন ভাষায় লিখিত পাথরের খণ্ড।সপ্তম প্রদর্শনকোষ্ঠে সংরক্ষিত আছে বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ।

Saturday, August 12, 2017

ধাঁধাঁ ও উত্তর

কালিদাস পণ্ডিতের মজার ধাঁধা গুলো গ্রাম-গঞ্জে খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে বিয়ের বাড়ীতে কনের পক্ষে ছেলের পক্ষে এবং ছেলের পক্ষ কনের পক্ষে ধাঁধার প্রশ্ন করে থাকে এবং সে ধাঁধার প্রশ্নের দিতে হয় নয়তো লজ্জা পেতে হয়। কিন্তু ধাঁধার প্রশ্নের উত্তর যদি আপনার আগে থেকে জানা থাকে তাহলে এর উত্তর দিতে সহজ হবে এবং লজ্জা পেতে হবে না। দেখে নিন কিছু মজার ধাঁধার উত্তর।

২০১. কোন শহর খুলতে মানা,

তা কি তোমার আছে জানা।

উত্তর–খুলনা।

২০২. কোন সে সরস ফল বলো দেখি ভাই

ফেলি তার আর্ধ ভাগ, অর্ধাংশ খাই।

টক মিষ্টি স্বাদ তার চোখ আগণন

বাংলাদেশের সস্তা ফল নাম কত এখন?

উত্তর-আনারস।

২০৩. কোন সে বিদেশী ভাষা  নাম চার অক্ষরে,

দ্বিতীয় কেটে দেখো পানিতে বাস করে?

উত্তর—ইংলিশ।

২০৪. কোন টেবিলে পায়া থাকে না,

ঝুলে থাকে, ছাড়ায় না?

উত্তরঃ টাইম টেবিল।

২০৫. কোন পাখির ডিম নাই, বলো তো দেখি।

বলতে না পারলে বুঝবো বুদ্ধি নাই ঘটে।

উত্তরঃ বাদুর।

২০৬. কোন ফলের উপরটা খাই, ভিতরে তার ফুল,

ভাবতে গেলে  তার কথা পণ্ডিতের হয় ভুল?

উত্তরঃ চালতা।

২০৭. কোন ফলের বীজ নেই, বল দেখি দাদা।

বলতে না পারলে, হবে তুমি গাধা।

উত্তরঃ নারিকেল।

২০৮. কোন ব্যাংকে টাকা থাকে না। ধার কখনো পাওয়া যায় না।

উত্তরঃ ব্লাডব্যাংক।

২০৯. কোন গাছেতে হয় না ফুল, আছে শুধু গন্ধ।

গাছ তলাতে গেলে পরে, সবাই পাবে গন্ধ।

উত্তরঃ চন্দন।

২১০. কোন গাছের পাতায় কাঁটা, মাথায় ঝাঁটা, দেখিতে নিরস, কাটিলে তাহার দেহে পাবে মিষ্টি রস।

ছোট ছোট ফলে তার ঝোপে ঝোপে ধরে, কাঁচায় সবুজ, পাকলে লাল ছোটরা আদর করে।

উত্তরঃ খেজুর গাছ।

২১১. কোমর ধরে শুইয়ে দাও, কাজ যা করার করে নাও।

উত্তরঃ শিল নোড়া।

২১২. কেবান সে ফল ভাই, লেজে থাকে দাড়ি?

গা কেটে ধরে ফল, খায় নর-নারী।

উত্তরঃ ভুট্টা

২১৩. কট কাচারিতে বিচার শুনি, জন্ম আমার বনে।

সবাই আমার পেটে বসে, কষ্ট পাই না মনে।

উত্তরঃ চেয়ার।

২১৪। কনছেন দেখি, সাদার ভেতর সাদা।

উত্তরঃ ডিম।

২১৫. কথা ও ছবি ছায়ায় আসে, দেখে তা কিন্তু সবাই হাসে?

উত্তরঃ টেলিভিশন।

২১৬. কদমের ভাই সজন রায়; একশো আটটা জামা গায়।

তবু তার সাদ মিটে না, আরো জামা চায়।

উত্তরঃ কলাগাছ।

২১৭. কলের মধ্যে পা দিয়েছি, তাইতো আমায় পেলে।

বিপদ হলে দোষটা সবাই আমার ঘাড়ে ফেলে।

উত্তরঃ কপাল।

২১৮. কনছেন দেখি কোন খানা খাওয়া যায় না?

উত্তরঃ গোসলখানা।

২১৯. কনছেন দেখি কোণ বাসা ভাড়া দেওয়া যায় না?

উত্তরঃ ভালবাসা।

২২০. কাঁচাতে তুলতুল, পাকাতে টক।

লেংটা হয়ে বাজারে যায়, জিভে আসে পানি।

উত্তরঃ তেঁতুল।

চখাম ধাঁধাঁ, মজার ধাঁধা

বাউল ও লালন দুই বন্ধু। দুই বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় হলো বাঁশির। দুই বন্ধু বাঁশির কাছে তার জন্মদিন কবে জানতে চাইল। বাঁশি সরাসরি না বলে দশটি সম্ভাব্য উত্তর দিল, যার যেকোনো একদিন হচ্ছে তার জন্মদিন। দিনগুলো হচ্ছে—

বৈশাখ ১৫, ১৬, ১৯

জ্যৈষ্ঠ ১৭, ১৮

আষাঢ় ১৪, ১৬

শ্রাবণ ১৪, ১৫, ১৭

এর পর বাঁশি কানে কানে বাউলকে জানাল সঠিক মাস, আর লালনকে জানাল সঠিক দিন। এবারে বাউল বলল, ‘আমি বাঁশির জন্মদিন কবে তা জানি না, তবে এও জানি যে লালনও তা জানে না।’

লালন খুব বুদ্ধিমান, বাউলের কথা শুনেই সে বলল, ‘প্রথমে আমি জানতাম না বটে, তবে এখন কিন্তু জানি!’

বাউলও কম সেয়ানা নয়, সেও সঙ্গে সঙ্গে বলে বসল, ‘এখন আমিও কিন্তু জানি।’

প্রশ্ন হচ্ছে, বাঁশির জন্মদিন কবে?