পৃষ্ঠাসমূহ

Tuesday, January 13, 2015

ব্রনের দাগ দূর করার ৮ টি সহজ উপায়


ব্রন খুবই অস্বস্তিকর একটি সমস্যা। কম বেশি সবাই এ সমস্যায় ভোগেন। তবে মুখে ব্রন উঠে যতটা না অস্বস্তিতে ফেলে তার থেকে বেশি অস্বস্থি হয় যখন ব্রনের দাগ মুখে গেড়ে বসে। আর তখনই ভর করে দুশচিন্তার। যার কারনে ব্রনের প্রকপ আরও বেড়ে যায় এবং তার থেকে সৃষ্টি হয় দাগের। তাই ব্রন ও ব্রনের দাগের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য রয়েছে ব্রনের দাগ দূর করার সহজ ৮ টি উপায়। চলুন জেনে নেই ব্রনের দাগ দুর করার উপায়গুলি -

১. ব্রনের দাগ দূর করতে মধু একটি কার্যকারি উপাদান। রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে মধু লাগান। সারারাত তা রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে তা ধুয়ে ফেলুন।

২. মধুর সাথে দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে শুধুমাত্র দাগের উপর লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। চাইলে সারারাতও রাখতে পারেন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার মুখের দাগ দূর হয়ে গোছে।

৩. ২-৩ টি এস্পিরিন ট্যাবলেট এর সাথে ২ চামচ মধু ও ২-৩ ফোঁটা পানি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এস্পিরিন এর স্যালিসাইলিক এসিড ব্রণের দাগ দূরের জন্য খুবই সহায়ক।

৪. ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও সামান্য পানি একসাথে মিশিয়ে মুখে ২-৩ মিনিট ঘষুন এবং শুকানোর জন্য কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে এর উপর কোনও ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা অলিভ অয়েল লাগান। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন এটি ব্যাবহার করুন, ভালো ফল পাবেন।

৫. দিনে দুইবার অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগান এবং ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধুমাত্র ব্রণের দাগই দূর করবে না, বরং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং টানটান হবে।

৬. একটি লাল টমেটোর কিছু অংশ নিয়ে তার রস নিন। এরপর তা শশার রসের সাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ বার এই প্যাকটি লাগান। ব্রণের দাগ দূর তো হবেই সেই সাথে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

৭. লেবু একটি প্রাকৃতিক ব্লিচ। লেবুর রসের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে একটি তুলার বলের সাহায্যে তা মুখে ৩-৪ মিনিট ঘষুন। যদি সেনসিটিভ স্কিন হয় তাহলে এর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে নিবেন। সম্ভব হলে ১ চামচ লেবুর রসের সাথে ২ চামচ ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

৮. ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ আমন্ড তেল, ২ টেবিল চামচ দুধ একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। একটানা ৭-১০ দিন এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্রণ থাকা অবস্থায় দুধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।-সূত্র: উইমেন্স মেকওভার।

ছেলেদের কাছ থেকে যে ৫ টি জরুরী বিষয় শেখা উচিত মেয়েদের

কে বেশি স্বয়ংসম্পূর্ণ তা নিয়ে বিতর্কে জড়ালে ছেলে এবং মেয়ে উভয়য়েই নিজেদের দিকেই আঙুল দেখাবেন। মেয়েরা দাবি করবেন তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অপরপক্ষে ছেলেরাও দাবি করবেন ছেলেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাই এই ধরণের তর্কে না যাওয়াই ভালো। কারণ আসল কথা হলো কেউই স্বয়ংসম্পূর্ণ নন। নারী-পুরুষ উভয়েই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। প্রত্যেকেরই অনেক কিছু শেখার রয়েছে অন্য মানুষটির কাছ থেকে।

এরই প্রেক্ষিতে, আজকে আপনাদের জন্য রয়েছে ছেলেদের এমন কিছু গুনের কথা যা মেয়েদের আয়ত্ত করা উচিৎ। অনেক মেয়ে ভাবতে পারেন, কী এমন গুন রয়েছে যা শিখতে হবে? কিন্তু মুখ বাঁকা করলে তো হবে না, আসলেই কিছু ব্যপারে ছেলেরা মেয়েদের চাইতে বেশি দক্ষতা রাখেন। এই দেখে আবার কোনো ছেলে নিজেদের সুপারহিরো ভেবে বসবেন না যেন! কারণ পরবর্তী ফিচারে আসবে মেয়েদের কাছ থেকে যে জিনিসগুলো শিখতে পারেন ছেলেরা।
ছেলেদের যুক্তিতর্কের ক্ষমতা

মেয়েরা এই কথা মানুক বা না মানুক, ছেলেরা কিন্তু যুক্তি দেখিয়ে তর্ক করতে বেশি পারদর্শী। তারা কোনো তর্কে জড়ালে অযৌক্তিক কোনো কথা বলা একেবারেই পছন্দ করেন না এবং বলেন না। তাদের কাছে নিজেদের কথার পেছনে যুক্তি দাঁড় করানোটাই থাকে মূল লক্ষ্য। কিন্তু মেয়েরা তর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার যুক্তি মানেন না। মেয়েদের কাছে তর্কে জিতে যাওয়াটা থাকে মূল লক্ষ্য। সে কারণে তারা কী যুক্তি দিচ্ছেন তা নিজেরাই বুঝতে পারেন না ফলে যুক্তি হয়ে যায় অযৌক্তিক। তাই মেয়েদের ছেলেদের কাছ থেকে যৌক্তিক কথা বলার এই গুনটি শিখতে হবে।
অযথা আবেগী না হওয়া

কথায় বলে মেয়েরা মস্তিষ্ক দিয়ে নয় হৃদয় দিয়ে ভাবেন। আসলেই কথাটি সত্য। কিন্তু ছেলেরা মস্তিষ্ক দিয়েই ভাবেন। একারণে ছেলেরা খুব বেশি আবেগী হন না কোনো ব্যাপারে। এটি অবশ্যই একটি ভালো গুন। কারণ আবেগ মানুষকে শুধুমাত্র পেছনে টেনে নেয়। সফলতা আনতে চাইলে জীবনে আবেগের কোনো স্থান নেই। তাই মেয়েদের উচিৎ ছেলেদের মতো অযথা আবেগী না হওয়া। হয়তো দেখা গেল যেখানে কেউ অসুস্থ সেখানে ছেলেরা এগিয়ে এসে সাহায্য করলেন কিন্তু মেয়েরা কাঁদতে শুরু করে দিলেন। হ্যাঁ, মেয়েদের মন নরম হয় কিন্তু সব সময় তো আবেগী হয়ে পরা ঠিক নয়। মাথা খাটিয়ে কাজ করা উচিৎ।
অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা না করা

মেয়েরা অনেকবেশি অনুভূতিপ্রবণ হয়ে থাকেন। এবং অনেক ক্ষেত্রে অনেক বেশি মাত্রায় অনুভূতিপ্রবনতা দেখান। এবং বেশি বেশি চিন্তা করেন। দেখা যায় অনেক সামান্য ব্যাপারে অযথাই বেশি কিছু চিন্তা করে নিয়ে গণ্ডগোল পাকিয়ে বসে থাকেন অনেক মেয়ে। কেউ ফোন ধরছেন না, ভেবে বসবেন তাকে এড়িয়ে চলছেন অথবা কোনো মারাত্মক বিপদে পড়েছেন। কিন্তু হয়তো দেখা গেল আসলে যাকে ফোন করা হয়েছে তিনি ঘুমাচ্ছেন। এই ধরণের অতিরিক্ত চিন্তা করা ছেলেদের একেবারেই পছন্দ নয়। তারা হয়তো এতোটুকুই চিন্তা করবেন যে ‘সে হয়তো ব্যস্ত’। তাই মেয়েরা অযথা চিন্তা না করে কোনো ঘটনাকে সাধারণভাবে ভাবতে শিখুন।
স্বপ্নের দুনিয়ায় বসবাস না করা

ছেলেরা স্বপ্নের দুনিয়ায় বসবাস করতে একেবারেই পছন্দ করেন না। ছেলেদের মতে স্বপ্নের দুনিয়া বলতে কিছুই নেই। নিজের জীবনটাকে স্বপ্নের মতো সাজাতেই তারা ব্যস্ত থাকেন। মেয়েরা সব সময় স্বপ্নের দুনিয়ায় বসবাস করেন। তাদের কাছে বেশীরভাগ জিনিসই স্বপ্নময়। স্বপ্নের রাজপুত্র, স্বপ্নের ঘরবাড়ি সব। কিন্তু এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হন মেয়েরাই। কারণ স্বপ্ন সব সময় পূরণ হয় না। তাই মেয়েদের বলছি, স্বপ্নের দুনিয়ায় বসবাস না করে ছেলদের মতো বাস্তব দুনিয়ায় থাকা শিখুন।
যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের মানিয়ে নেয়া

ছেলেরা নিজেকে যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেন। এটি অনেক বড় একটি গুন। অনেকে বলতে পারেন মেয়েদের নিজেদের ঘর ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে মানিয়ে চলাটা কি এর মধ্যে পড়ে না। হ্যাঁ অবশ্যই পড়ে। কিন্তু এটি একটি বাধ্যগত মানিয়ে নেয়া। এটি করতেই হবে। কিন্তু কোথাও ঘুরতে বা বেড়াতে গেলে ‘এখানে থাকবো না, ঐখানে যাবো না, এটা করবো না, ঐটা সমস্যা’ এই ধরণের কথা সব সময় একটি মেয়ের মুখ থেকেই শোনা যায়। বাধ্য না হলে নিজেকে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে অভ্যস্ত নন মেয়েরা। কিন্তু ছেলেরা এই কাজে পারদর্শী। মেয়েরা যদি নিজেকে যে কোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়ার এই দক্ষতাটি আগেই আয়ত্ত করতে পারেন তবে পরবর্তীতে শ্বশুরবাড়িতেও আশা করি মানিয়ে নিতে বেশি সমস্যা হবে না।

যে ৬টি কারণে খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত ভাত

যে ৬টি কারণে খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত ভাত


(প্রিয়.কম) অনেকেই এই ধারণা রাখেন যে ভাত খেলে শরীরে পানি জমে, বাতের ব্যথা বাড়ে, ওজন বাড়ে ইত্যাদি। ভাত আসলেই খাওয়া উচিত কি না সেটা নিয়েও রয়েছে নানারকম মতামত। অনেকে মনে করেন ভাত খেলে সহজে ঘুম পায়, মোটা হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। আবার অনেকে মনে করেন ভাত আর রুটির মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তবে বিতর্ক যাই থাকুক না কেন, ভাতের গুণ রয়েছে কিন্ত যথেষ্ট। ভাতের নানা গুণ সম্পর্কে এবং ভাত কীভাবে সঠিক ডায়েটে জায়গা করে নিতে পারে জেনে নিন।
১.লো-ক্যালরি ফুড

একটা ধারণা বেশ ভালোভাবেই প্রচলিত আছে যে, ভাত খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু অন্য আর সব খাবারের মতোই ভাত পরিমিত পরিমাণে খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। ১০০ গ্রাম ভাতে রয়েছে প্রায় ১০০ ক্যালরি। ফ্যাটের পরিমাণও খুব কম, ভাত্র ০.৪ গ্রাম। আটার রুটির প্রায় সমান ক্যালরি। ময়দা, পরোটা বা তেলে ভাজা পুরির তুলনায় ভাত খাওয়া উপকারী। দিনে দু বার ভাত খেতেই পারেন, তবে আপনার উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী ভাতের পরিমাণ নির্দিষ্ট রাখুন।
২.ভিটামিনের আধার

ভাতে যথেষ্ট পরিমাণে নিয়াসিন, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, থিয়ামিন ও রাইবোফ্লাভিন রয়েছে।
৩.সহজে হজম হয়

কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার হওয়ায় ভাত সহজে হজম হয়। হজমপ্রক্রিয়ার জন্য ভাত খুব উপকারী। বিশেষ করে ডায়রিয়া হলে জাউভাত খুব ভালো কাজে দেয়।
৪.বাওয়েল মুভমেন্টের জন্য উপকারী

ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ। স্টার্চ স্বাভাবিক বাওয়েল মুভমেন্টের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া নিঃসরণে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে বা বদহজমের সমস্যা হলে ভাত খাওয়াটাই ভালো।
৫.হাইপারটেনশনে নিরাপদ

ভাতে কোলেস্টেরল ও সোডিয়াম নেই। হাইপারটেনশনের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা ডায়েটে ভাত রাখার চেষ্টা করুন।
৬.গ্লুটেন মুক্ত

গম, বার্লি, ওটসে এক ধরনের বিশেষ প্রোটিন রয়েছে 'গ্লুটেন', যা অনেকেই হজম করতে পারে না। ভাতে গ্লুটেন না থাকায় যারা গ্লুটেন-ফ্রি ডায়েট মেনে চলেন তাদের জন্য ভাত উপযোগী। এ কারণেই পেটের সমস্যার সময় জাউভাত খেলে উপকার পাওয়া যায়।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া