কে বেশি স্বয়ংসম্পূর্ণ তা নিয়ে বিতর্কে জড়ালে ছেলে এবং মেয়ে উভয়য়েই নিজেদের দিকেই আঙুল দেখাবেন। মেয়েরা দাবি করবেন তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অপরপক্ষে ছেলেরাও দাবি করবেন ছেলেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাই এই ধরণের তর্কে না যাওয়াই ভালো। কারণ আসল কথা হলো কেউই স্বয়ংসম্পূর্ণ নন। নারী-পুরুষ উভয়েই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। প্রত্যেকেরই অনেক কিছু শেখার রয়েছে অন্য মানুষটির কাছ থেকে।
এরই প্রেক্ষিতে, আজকে আপনাদের জন্য রয়েছে ছেলেদের এমন কিছু গুনের কথা যা মেয়েদের আয়ত্ত করা উচিৎ। অনেক মেয়ে ভাবতে পারেন, কী এমন গুন রয়েছে যা শিখতে হবে? কিন্তু মুখ বাঁকা করলে তো হবে না, আসলেই কিছু ব্যপারে ছেলেরা মেয়েদের চাইতে বেশি দক্ষতা রাখেন। এই দেখে আবার কোনো ছেলে নিজেদের সুপারহিরো ভেবে বসবেন না যেন! কারণ পরবর্তী ফিচারে আসবে মেয়েদের কাছ থেকে যে জিনিসগুলো শিখতে পারেন ছেলেরা।
ছেলেদের যুক্তিতর্কের ক্ষমতা
মেয়েরা এই কথা মানুক বা না মানুক, ছেলেরা কিন্তু যুক্তি দেখিয়ে তর্ক করতে বেশি পারদর্শী। তারা কোনো তর্কে জড়ালে অযৌক্তিক কোনো কথা বলা একেবারেই পছন্দ করেন না এবং বলেন না। তাদের কাছে নিজেদের কথার পেছনে যুক্তি দাঁড় করানোটাই থাকে মূল লক্ষ্য। কিন্তু মেয়েরা তর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার যুক্তি মানেন না। মেয়েদের কাছে তর্কে জিতে যাওয়াটা থাকে মূল লক্ষ্য। সে কারণে তারা কী যুক্তি দিচ্ছেন তা নিজেরাই বুঝতে পারেন না ফলে যুক্তি হয়ে যায় অযৌক্তিক। তাই মেয়েদের ছেলেদের কাছ থেকে যৌক্তিক কথা বলার এই গুনটি শিখতে হবে।
অযথা আবেগী না হওয়া
কথায় বলে মেয়েরা মস্তিষ্ক দিয়ে নয় হৃদয় দিয়ে ভাবেন। আসলেই কথাটি সত্য। কিন্তু ছেলেরা মস্তিষ্ক দিয়েই ভাবেন। একারণে ছেলেরা খুব বেশি আবেগী হন না কোনো ব্যাপারে। এটি অবশ্যই একটি ভালো গুন। কারণ আবেগ মানুষকে শুধুমাত্র পেছনে টেনে নেয়। সফলতা আনতে চাইলে জীবনে আবেগের কোনো স্থান নেই। তাই মেয়েদের উচিৎ ছেলেদের মতো অযথা আবেগী না হওয়া। হয়তো দেখা গেল যেখানে কেউ অসুস্থ সেখানে ছেলেরা এগিয়ে এসে সাহায্য করলেন কিন্তু মেয়েরা কাঁদতে শুরু করে দিলেন। হ্যাঁ, মেয়েদের মন নরম হয় কিন্তু সব সময় তো আবেগী হয়ে পরা ঠিক নয়। মাথা খাটিয়ে কাজ করা উচিৎ।
অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা না করা
মেয়েরা অনেকবেশি অনুভূতিপ্রবণ হয়ে থাকেন। এবং অনেক ক্ষেত্রে অনেক বেশি মাত্রায় অনুভূতিপ্রবনতা দেখান। এবং বেশি বেশি চিন্তা করেন। দেখা যায় অনেক সামান্য ব্যাপারে অযথাই বেশি কিছু চিন্তা করে নিয়ে গণ্ডগোল পাকিয়ে বসে থাকেন অনেক মেয়ে। কেউ ফোন ধরছেন না, ভেবে বসবেন তাকে এড়িয়ে চলছেন অথবা কোনো মারাত্মক বিপদে পড়েছেন। কিন্তু হয়তো দেখা গেল আসলে যাকে ফোন করা হয়েছে তিনি ঘুমাচ্ছেন। এই ধরণের অতিরিক্ত চিন্তা করা ছেলেদের একেবারেই পছন্দ নয়। তারা হয়তো এতোটুকুই চিন্তা করবেন যে ‘সে হয়তো ব্যস্ত’। তাই মেয়েরা অযথা চিন্তা না করে কোনো ঘটনাকে সাধারণভাবে ভাবতে শিখুন।
স্বপ্নের দুনিয়ায় বসবাস না করা
ছেলেরা স্বপ্নের দুনিয়ায় বসবাস করতে একেবারেই পছন্দ করেন না। ছেলেদের মতে স্বপ্নের দুনিয়া বলতে কিছুই নেই। নিজের জীবনটাকে স্বপ্নের মতো সাজাতেই তারা ব্যস্ত থাকেন। মেয়েরা সব সময় স্বপ্নের দুনিয়ায় বসবাস করেন। তাদের কাছে বেশীরভাগ জিনিসই স্বপ্নময়। স্বপ্নের রাজপুত্র, স্বপ্নের ঘরবাড়ি সব। কিন্তু এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হন মেয়েরাই। কারণ স্বপ্ন সব সময় পূরণ হয় না। তাই মেয়েদের বলছি, স্বপ্নের দুনিয়ায় বসবাস না করে ছেলদের মতো বাস্তব দুনিয়ায় থাকা শিখুন।
যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের মানিয়ে নেয়া
ছেলেরা নিজেকে যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেন। এটি অনেক বড় একটি গুন। অনেকে বলতে পারেন মেয়েদের নিজেদের ঘর ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে মানিয়ে চলাটা কি এর মধ্যে পড়ে না। হ্যাঁ অবশ্যই পড়ে। কিন্তু এটি একটি বাধ্যগত মানিয়ে নেয়া। এটি করতেই হবে। কিন্তু কোথাও ঘুরতে বা বেড়াতে গেলে ‘এখানে থাকবো না, ঐখানে যাবো না, এটা করবো না, ঐটা সমস্যা’ এই ধরণের কথা সব সময় একটি মেয়ের মুখ থেকেই শোনা যায়। বাধ্য না হলে নিজেকে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে অভ্যস্ত নন মেয়েরা। কিন্তু ছেলেরা এই কাজে পারদর্শী। মেয়েরা যদি নিজেকে যে কোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়ার এই দক্ষতাটি আগেই আয়ত্ত করতে পারেন তবে পরবর্তীতে শ্বশুরবাড়িতেও আশা করি মানিয়ে নিতে বেশি সমস্যা হবে না।
No comments:
Post a Comment