পৃষ্ঠাসমূহ

Tuesday, January 13, 2015

পরকাল যে সত্যিই হবে তার যুক্তি



১নং যুক্তি-

মানুষ সাধারণত দুটো কারণে মিথ্যা বলে। যথাঃ

১। মানুষ কোন না কোন লোভ বা স্বার্থের বশীভূত হয়ে-অথবা

২। কোন না কোন ভয়ের কারণে।

এ দুটো জিনিস যখন কারও সামনে থাকে না, তখন সে সত্য কথাই বলে এটাই মানব প্রবৃত্তি। আমরা দেখি দুনিয়ার নবী রাসূল সবাই বলেছেন; পরকাল হবে এবং তাঁরা প্রত্যেকেই এমন ছিলেন যে, কোন প্রকার লোভ বা ভয় তাঁদের স্পর্শ করতে পারেনি। কাজেই তাঁরা যখন সবাই একই কথা বলেছেন, তখন আবশ্যই তা মিথ্যা হতে পারে না।

২নং যুক্তি -

যা সত্য সাক্ষ্য তা যত মানুষেই (সাক্ষ্য) দিক না কেন প্রত্যেকের কথা একই প্রকার হয়। আর যা মিথ্যা সাক্ষ্য তা কখনও একটা সঙ্গের অন্যটার মিল হয় না। যেমন একই অঙ্কের সঠিক উত্তর প্রত্যেকটিই একই প্রকার হয়,কিন্তু ভুল উত্তর কখনও একটার সঙ্গে অন্যটার মিল হয় না। এই যুক্তি মোতাবিক দেখা যায় আল্লাহর প্রত্যেক নবী আল্লাহর একত্ববাদ,রিসালত বা নবী রাসূলগণের কার্যকলাপ ও যৌক্তিকতা এবং পরকাল সম্পর্কে হুবহু একই কথা বলেছেন। এর দ্বারা প্রমাণ হয় যে, একথা মিথ্যা হলে সবার কথা একই প্রকার হতে পারতো না।


৩নং যুক্তি -

আল্লাহতে বিশ্বাসীগণ আমরা আল্লাহকে এভাবে পেয়েছি যে, যা কিছু আমাদের প্রয়োজন তা সবই তিনিই দেন। আর যা কিছু আমাদের মনের মৌলিক দাবী তা সবই তিনিই পূরণ করেন। এর ব্যতিক্রম আমরা পাইনি। আর লক্ষ্য করা গেছে যে, আল্লাহ সবই দেন বটে কিন্তু প্রয়োজনের পূর্বে দেন না। যেমন দুধের যখন প্রয়োজন ছিল তখন দুধ ঠিকই দিয়েছেন। দাঁতের প্রয়োজন ছিল না বলে দাঁত তখন দেননি। কিন্তু যখনই দাঁতের প্রয়োজন হয়েছে তখনই তিনি দাঁত দিয়েছেন।

দেখা যায় আল্লাহর সব কিছু দেয়ার ধারা মোতাবিক ভালো কাজের জন্য ভালো ফল এবং মন্দ কাজের জন্য মন্দ ফল মানব মনের এ দুটি প্রধান দাবী এখনও পূরণ করেননি। কিন্তু এ দাবী অবশ্যই পূরণ করবেন।

বলা বাহুল্য, মানব মনের সব চাইতে জোরালো এই দাবী দুটো পূরণের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ স্থায়ী জীবনের। যে জীবনের শাস্তি ও পুরস্কার ভোগ করার মত উপযুক্ত সময় পাওয়া যাবে। অর্থাৎ হিরোশিমা ও নাগাসাকির উপর বোমা ফেলে যে লোকটি এক মুহূর্তের মধ্যে কত হাজার হাজার লোককে বোমা বিস্ফোরণ করে মেরে ফেললো তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হলে হাজার হাজার বার তাকে মারা দরকার। কিন্তু এই পৃথিবীর জীবনে যেখানে একটা মানুষকে মাত্র একবারই মেরে ফেলা যায়,সেখানে একাধিক ব্যক্তির হত্যাকারীকে উচিৎ শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়,তাই মানব মনের দাবী হচ্ছে এই যে,এমন একটা চিরস্থায়ী জীবন দিতে হবে সেখানে একাধিক ব্যক্তির হত্যাকারীকে একাধিক বার হত্যা করা যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে যাঁরা এ পৃথিবীর উন্নতির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন এবং মানুষের ভালো করতে গিয়ে চরম জুলুম নির্যাতন ভোগ করেছেন তাদের ব্যাপারে একচেটিয়াভাবে প্রত্যেকের মনের দাবী এই যে,তাদের উপযুক্ত পুরস্কার দেয়া হোক এবং সে পুরস্কার ভোগ করার মত একটা দীর্ঘ সময়ও তাকে দেয়া হোক। মানুষের এই যে মৌলিক দাবী এটা পূরণ করার জন্যই আল্লাহকে কিয়ামত দিতে হবে। আর তা যদি আল্লাহ না ই দেন তবে ন্যায় বিচারক হিসেবে গণ্য হতে পারেন না। (নাউযুবিল্লাহ)

এ আলোচনা থেকে বুঝা গেলো পরকাল হতে হবে মানুষের প্রয়োজনেই। কাজেই তা আল্লাহ দিতে ওয়াদা করেছেন যেন তিনি ন্যায় বিচার করে তা কার্যকর করতে পারেন।

যে ধরনের প্রেমিকা স্ত্রী হওয়ার যোগ্য




লাইফস্টাইল ডেস্ক :: অনেকেই প্রেম করছেন আবার অনেকেই প্রেমে পড়েছেন অথচ যখনই বিয়ের কথা ওঠে তখনই বেশ দ্বিধায় ভুগতে শুরু করেন আপনি। কারণ প্রেম করার সময় তো স্বল্প সময় একসাথে থাকছেন, কিন্তু বিয়ে তো অনেকদিনের ব্যাপার।

তাই বুঝতে পারছেন না আপনি সঠিক মানুষটির সাথেই প্রেম করছেন কিনা যে আপনার জীবনসঙ্গিনী হওয়ার যোগ্য। ভাবছেন কী ভাবে বুঝবেন যে আপনার প্রেমিকা আপনার স্ত্রী হওয়ার যোগ্য। জেনে নিন কিছু লক্ষণ যেগুলো মিলে গেলে বুঝতে পারবেন প্রেমিকাই যোগ্য স্ত্রী-

আপনাদের দুজনেরই যদি অভ্যাসে বেশ কিছু মিল থাকে এবং আপনার প্রেমিকা যদি আপনার শখ এবং অভ্যাসগুলোকে যথেষ্ট সম্মান করে তাহলে আপনি সঠিক মানুষটির সাথেই প্রেম করছেন।

আপনার প্রেমিকা কি প্রায়ই আপনার জন্য রান্না করে নিয়ে আসে? আপনার পছন্দের খাবারগুলো সে যদি পরম মমতায় শখ করে রেঁধে নিয়ে আসে তাহলে আপনি বুঝে নিন আপনি সঠিক মানুষটির সাথেই প্রেম করছেন। আপনার প্রেমিকা সত্যিই আপনার প্রতি দায়িত্বশীল এবং আপনাকে মন থেকেই ভালোবাসে।

আপনার প্রেমিকা যদি আপনার ব্যস্ততার সময় কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় অহেতুক বিরক্ত না করে কিংবা হস্তক্ষেপ না করে তাহলে বুঝে নিন আপনার প্রেমিকা একজন আদর্শ স্ত্রী হতে পারবেন।

আপনার প্রেমিকার মন খারাপ থাকলে তার প্রকৃত কারণটা কি তিনি মন খুলে বলেন? যদি না বলে থাকেন তাহলে তিনি চাপা স্বভাবের এবং এক্ষেত্রে সম্পর্ক সুখের হয় না। আর যদি আপনার প্রেমিকা আপনাকে মন খুলে তার সমস্যা ও মন খারাপের কারণ জানিয়ে দেয় তাহলে বুঝে নিন তিনি হতে পারবেন আপনার স্ত্রী হিসেবে যোগ্য।

আপনার প্রেমিকা কি ক্রমাগত আপনাকে বদলে দেয়ার চেষ্টা করছেন নাকি আপনাকে বদলানোর কোনো চেষ্টা আপনার প্রেমিকা করেন না? আপনার প্রেমিকা যদি আপনি যেমন সেটাই গ্রহণ করে নেন এবং অহেতুক আপনাকে বদলে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি না করেন তাহলে তিনি আপনার জীবনসঙ্গী হওয়ার যোগ্য।

আপনার প্রেমিকা যদি হাস্যোজ্জ্বল হয় এবং খুব একঘেয়ে মূহূর্তগুলোকেও রঙিন করে দেয়ার ক্ষমতা তার থাকে তাহলে তাকেই নিজের জীবন সঙ্গী করে নিন। কারণ এধরণের নারীর সাথে জীবনটাকে কখনই একঘেয়ে মনে হয় না।

আপনার প্রেমিকা যদি আপনাকে নিজস্ব কিছু একা সময় কাটাতে দেয় এবং তিনি নিজেও যদি আপনার উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল না হয়ে থাকে তাহলে তিনি আপনার স্ত্রী হওয়ার জন্য যোগ্য একজন নারী। কারণ সুখী মানুষ হতে হলে প্রতিটি মানুষেরই নিজস্ব কিছু সময় প্রয়োজন যা শুধুই নিজের মত করে কাটানো যায়।

আপনার সঙ্গিনী কি বিপদের সময় আপনাকে নানা রকম ইতিবাচক পরামর্শ ও সমাধান দিয়ে থাকে? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আপনি একজন সৌভাগ্যবান পুরুষ যিনি পেয়েছেন একজন আদর্শ সঙ্গিনী।

ধূমপান ছাড়তে চাচ্ছেন, জেনে নিন কিছু কৌশল



লাইফস্টাইল ডেস্ক :: ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর৷ সবাই আমরা জানি৷ কিন্তু জেনেও জানি না, বুঝেও বুঝি না৷ মানে সব জায়গাতেই এই সাইনবোর্ডটা লাগানো থাকে৷ কিন্তু পড়ে আমরা বিজ্ঞের মতো ব্যাপারটা নিয়ে দু মিনিট ভেবে আবার নতুন উদ্যমে আর একটা সিগারেট ধরাতে থাকি৷আমি-আপনি বললেও এটা সত্যি, আর না বললেও ধ্রুব সত্যি৷ কারণ সিগারেট খাওয়ার ফলে ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট, হার্টের রোগের মতো ভয়ংকর ব্যাধি আমাদের জীবনে থাবা বসাতে পারে জেনেও আমরা এর মায়া থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারি না৷ আর পারি না বলেই আমরা চেষ্টাও করি না৷ হোক বা না হোক, নিদেনপক্ষে চেষ্টাটা শুরু তো করা যেতে পারে-

১. আপনি হয়তো একদিনে ১২-১৫ টা সিগারেট খান৷ আর এমতাবস্থায় আপনাকে পুরোটা ছেড়ে দিতে বললে আপনার পক্ষে তা সম্ভব নয়৷ তাই চেষ্টা করুন আস্তে আস্তে সিগারেটের সংখ্যাটা কমিয়ে আনতে৷দিনে দশটা খেলে কমিয়ে আনুন সাতটায়, পনেরোটা খেলে আজ থেকেই এগারোটা খাওয়ার দৃঢ় সংকল্প নিন৷ তাহলে দেখবেন একদিন এমন আসবে, যে সারা দিনে আপনি হয়তো একটা সিগারেট খেয়ে দিব্যি রয়েছেন৷

২. পুরোপুরি যদি নিজেকে ধূমপান থেকে মুক্ত রাখতে চান , তাহলে নিকোটিনের স্বাদ আর গন্ধকে কাছে ঘেঁষতে দেবেন না৷তাই আপনার ঘরে ফার্নিচারের নীচে বা চারপাশে অল্প বেকিং সোডা ছড়িয়ে রাখতে পারেন৷ আশেপাশে কেউ সিগারেট খেলেও নাকে আর নিকোটিনের গন্ধ আসবে না৷

৩. সিগারেট ছাড়ার আর একটা ভালো বিকল্প চুইংগাম৷ মুখে চুইংগাম, ললিপাপ বা লজেন্স রাখুন৷ এতে সবসময় চিবোনোর একটা অনুভূতি থাকবে৷ সিগারেটের দিকে মন ছুক ছুক করবে না৷

৪. যদি ধূমপান ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকেন, তাহেল প্রথমেই সেইসব জায়গায় যাওয়া এক্কেবারে বন্ধ করে দিন যেখানে আপনি একসময় আয়েশ করে সুখটান দিতেন৷ বা প্রথম যেখানে লুকিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সিগারেটে টান দিয়েছিলেন তার দশহাতের মধ্যে পা রাখবেন না৷

৫. সিগারেট না খেয়ে মনটা অশান্ত হয়ে উঠছে? কুছ পরোয়া নেহি৷ পছন্দসই গান চালিয়ে মনটাকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন৷

৬. ঘরে রুম ফ্রেশনার বা অন্য সুগন্ধী রাখুন৷ আপনার সিগারেট ছাড়ার সহায়ক হবে৷

৭. সকালে ব্রেকফাস্টের পর, দুপুরে লাঞ্চের পর সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আস্তে আস্তে ছাড়ুন৷ চাইলে ওই সময়ে নিজেকে অন্য কোনও কাজে ব্যস্ত রাখুন৷আর যদি সিগারেটের ধোঁওয়া ছাড়া আপনি কফির কাপের দিকে হাত না বাড়ান, তাহলে সিগারেটের সঙ্গে সঙ্গে কফিটাও বাদ দিয়ে দিন জীবন থেকে৷ চায়ের পেয়ালাতেই আপাতত আপনাকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে৷

৮. অ্যাশ ট্রে, লাইটার, দেশলাই বাক্স, সিগারেটের প্যাকেট নিজের চৌহদ্দি থেকে আস্তে আস্তে সরিয়ে ফেলুন৷ এগুলো চোখের সামনে থাকলেই সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছেটাকে আপনি নিয়ন্ত্রণ না-ও করতে পারেন৷

৯. কাজের ফাঁকে ফাঁকে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা দ্রুত বদলে ফেলুন৷ না হলে যে একদিন মারণরোগের প্রকোপে আপনার জীবনটাই পালটে যাবে৷ কাজের ফাঁকে ফল বা কোনো স্ন্যাকস খেতে পারেন৷ খেতে ইচ্ছে না করলে খানিকক্ষণ কম্পিউটার গেম খেলুন আর তাতেও যদি বসের চোখরাঙানি থাকে, তাহলে অগত্যা ফোনেই না হয় কথা বলে সময় কাটান৷ মন থেকে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছেটা আস্তে আস্তে চলে যাবে৷